নিউমার্কেটে চলছে ঈদ আমেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৫০ Time View

মুজাহিদঃ

আর কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবেকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিপনীবিতান গুলোতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবারের ঈদ বাজার যেমন ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য তেমনি কম দামে পণ্য ক্রয় করতে চান অধিকাংশ ক্রেতাই। নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সব শ্রেনীর মানুষের পণ্য ক্রয়ের পছন্দের জায়গা নিউমার্কেট ৷ ঈদকে কেন্দ্র করে তাই নিউমার্কেট ও এর আসেপাশের এলাকায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার৷

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া, নূরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ও চাঁদনী চক মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে৷ দরদাম করে চলছে ক্রেতা বিক্রেতা৷ এসব ব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়। থেমে নেই ফুটপাতের কেনাবেচাও৷ সাইন্সল্যাব মোড় থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশেই বসেছে ফুটপাতের দোকান ৷ তীব্র গরম উপেক্ষা করে ফুটপাতের দোকান গুলোতেও ভিড় জমাচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। গরম আর জ্যাম ঠেলে যে যার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনে শান্তির ঢেঁকুর তুলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছেন।

রাজধানীর মহাখালী থেকে আসা সাইদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা পাঞ্জাবি কিনছিলেন চন্দ্রিমার সামনে ফুটপাতে বসা দোকানীর থেকে। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হকার্স মার্কেট ঘুরে একটা প্যান্ট পছন্দ হয়েছে তাই কিনেছি। ঈদের সাবর টার্গেট থাকে একটা করে পাঞ্জাবি পরা। আমার টাকা ও পছন্দের মিল হয়নি বলে আমি ফুটপাতের বাজারের উপর নির্ভর করেছি।

তিনি আরও বলেন, মার্কেটের পাঞ্জাবি গুলোর মাঝে আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া পাঞ্জাবির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য না থাকলেও টাকার অনেক ফারাক রয়েছে। তাই কোয়ালিটি কিছুটা নিম্ন হলেও প্রায় এক বলে আমার কাছে মনে হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার সময়ে আমাদের দোকান বন্ধ ছিলো। ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের অনেক সম্বল হারিয়েছি। আবার কেউ কেউ ব্যাংক ঝণ করে দোকানের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা বলেও মনে করেন অনেকে। গতবারের ক্ষতি এবার কিছুটা পোষাতে পাবেন বলে তাদের মধ্যে অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ছোট বড় মিলিয়ে চন্দ্রিমা, গাউছিয়া, নূর ম্যানসন ও হকার্স মার্কেটে অন্তত কয়েক হাজার বিপণিবিতাণ রয়েছে। এর মধ্যে নূর ম্যানসন ৪৬৮টি দোকান রয়েছে। এসব দোকান গুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি কেনা বেচা হবে৷

সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব দোকানে কেনাকাটা। মার্কেটের বাহিরে বসা দোকানিদের দোকান বাসানো ও বন্ধ করার সিডিউল একই। অনেকটা মার্কেটের সাথে পাল্লা দিয়েই এসব দোকানে, পাঞ্জাবি, শাড়ি, শার্ট, টি-শার্ট, থ্রিপিচ, কামিজ, ফতুয়া, ব্যাগ, জুতা, টুপি, কসমেটিক সামগ্রী, জুয়েলারি সামগ্রীসহ নানান সব পণ্যের পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নিউমার্কেটে চলছে ঈদ আমেজ

Update Time : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

মুজাহিদঃ

আর কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবেকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিপনীবিতান গুলোতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবারের ঈদ বাজার যেমন ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য তেমনি কম দামে পণ্য ক্রয় করতে চান অধিকাংশ ক্রেতাই। নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সব শ্রেনীর মানুষের পণ্য ক্রয়ের পছন্দের জায়গা নিউমার্কেট ৷ ঈদকে কেন্দ্র করে তাই নিউমার্কেট ও এর আসেপাশের এলাকায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার৷

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া, নূরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ও চাঁদনী চক মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে৷ দরদাম করে চলছে ক্রেতা বিক্রেতা৷ এসব ব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়। থেমে নেই ফুটপাতের কেনাবেচাও৷ সাইন্সল্যাব মোড় থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশেই বসেছে ফুটপাতের দোকান ৷ তীব্র গরম উপেক্ষা করে ফুটপাতের দোকান গুলোতেও ভিড় জমাচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। গরম আর জ্যাম ঠেলে যে যার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনে শান্তির ঢেঁকুর তুলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছেন।

রাজধানীর মহাখালী থেকে আসা সাইদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা পাঞ্জাবি কিনছিলেন চন্দ্রিমার সামনে ফুটপাতে বসা দোকানীর থেকে। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হকার্স মার্কেট ঘুরে একটা প্যান্ট পছন্দ হয়েছে তাই কিনেছি। ঈদের সাবর টার্গেট থাকে একটা করে পাঞ্জাবি পরা। আমার টাকা ও পছন্দের মিল হয়নি বলে আমি ফুটপাতের বাজারের উপর নির্ভর করেছি।

তিনি আরও বলেন, মার্কেটের পাঞ্জাবি গুলোর মাঝে আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া পাঞ্জাবির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য না থাকলেও টাকার অনেক ফারাক রয়েছে। তাই কোয়ালিটি কিছুটা নিম্ন হলেও প্রায় এক বলে আমার কাছে মনে হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার সময়ে আমাদের দোকান বন্ধ ছিলো। ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের অনেক সম্বল হারিয়েছি। আবার কেউ কেউ ব্যাংক ঝণ করে দোকানের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা বলেও মনে করেন অনেকে। গতবারের ক্ষতি এবার কিছুটা পোষাতে পাবেন বলে তাদের মধ্যে অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ছোট বড় মিলিয়ে চন্দ্রিমা, গাউছিয়া, নূর ম্যানসন ও হকার্স মার্কেটে অন্তত কয়েক হাজার বিপণিবিতাণ রয়েছে। এর মধ্যে নূর ম্যানসন ৪৬৮টি দোকান রয়েছে। এসব দোকান গুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি কেনা বেচা হবে৷

সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব দোকানে কেনাকাটা। মার্কেটের বাহিরে বসা দোকানিদের দোকান বাসানো ও বন্ধ করার সিডিউল একই। অনেকটা মার্কেটের সাথে পাল্লা দিয়েই এসব দোকানে, পাঞ্জাবি, শাড়ি, শার্ট, টি-শার্ট, থ্রিপিচ, কামিজ, ফতুয়া, ব্যাগ, জুতা, টুপি, কসমেটিক সামগ্রী, জুয়েলারি সামগ্রীসহ নানান সব পণ্যের পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন তারা।