নারীর পরকিয়া দেখে ফেলার জেরে দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় সেই নারীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৩১ Time View

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা

কুমিল্লায় বিবাহবহিভূত সম্পর্কের জেরে ২ শিশুকে হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ইয়াসমিন আক্তার (২৮)।

তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৪৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা সম্পর্কে আত্মীয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ২ নারী এজলাসে উপস্থিত ছিল। বিচারক ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা। তাদের হুশ ফেরাতে কোর্ট পুলিশ সদস্যদের নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১শে এপ্রিল লাজৈর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) বিবাহবহিভূত সম্পর্কে আসক্ত ছিল।

ঘটনা দেখে ফেলায় ওই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাতকে (৬) ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে খুন করে ইয়াসমিন। সেই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের ছেলে জসিমকেও (৭) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াসমিন আক্তারকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১শে এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১ নম্বর এবং মাজেদাকে ২ নম্বর এবং অজ্ঞাত দু-তিন জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নারীর পরকিয়া দেখে ফেলার জেরে দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় সেই নারীর মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ১০:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা

কুমিল্লায় বিবাহবহিভূত সম্পর্কের জেরে ২ শিশুকে হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ইয়াসমিন আক্তার (২৮)।

তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৪৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা সম্পর্কে আত্মীয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ২ নারী এজলাসে উপস্থিত ছিল। বিচারক ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা। তাদের হুশ ফেরাতে কোর্ট পুলিশ সদস্যদের নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১শে এপ্রিল লাজৈর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) বিবাহবহিভূত সম্পর্কে আসক্ত ছিল।

ঘটনা দেখে ফেলায় ওই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাতকে (৬) ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে খুন করে ইয়াসমিন। সেই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের ছেলে জসিমকেও (৭) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াসমিন আক্তারকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১শে এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১ নম্বর এবং মাজেদাকে ২ নম্বর এবং অজ্ঞাত দু-তিন জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।