দোকান খোলা রাখতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:২০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৭০ Time View
মো: রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:
করোনা মহামারীর জন্য সরকারি ভাবে সাড়াদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ।সাড়াদেশের ন্যায় পঞ্চগড়েও  চলছে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন। তবে লকডাউনের প্রথমদিনেই দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
.
সোমবার(৫- এপ্রিল) বিকেল ৫ টার সময় পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্ক চৌরঙ্গি মোরে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
.
দোকানপাট ও ব্যবসায়া প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় ব্যবসায়ীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করতে থাকেন।
.
এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  পুলিশ ও  নির্বাহি  ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত ঘটনাস্থথলে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীদের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে  ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফ হোসেন। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে যান।
.
ব্যবসায়ী নেতারা জানান,  কিছু দোকান খোলা থাকার কারণে ভ্রাম্যমাণ এসে জরিমানা শুরু করে। এতে আমরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হই ।আপাতত আন্দোলন স্থগিত করে দিলেও , দাবি মানা না হলে আবারও আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তারা।
.
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, গত বছর লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সামনে রমজান মাস। এবং কৃষকদের উত্পাদিত ফসল বিক্রি ও ব্যবসার মৌসুম। এসময় দোকানপাট বন্ধ থাকলে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার দাবিও জানান তারা। পঞ্চগড়  নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট  আরিফ হোসেন  বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে চান। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকেই সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। শপিং মল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই।
.
এ দিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে পঞ্চগড়ে  বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পড়লেও শারীরিক দুরত্বের  বোঝায়  ছিল না। কেউ কেউ মাস্ক পড়ছেন আগের মতোই থুতনিতে। সকাল থেকেই শহরের মার্কেট,  বন্ধ থাকলেও মুদিখানা, কাঁচাবাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয় শুধু  বড় বড় শপিং মল। লকডাউনে শহরে অটোরিকশা চলছে স্বাভাবিকভাবেই। সাধারণ মানুষের পদাচারনা দেখে বোঝার উপায় নেই লকডাউন আছে কি না।
.
এ বিষয়ে, পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেট ও বিপণীবিতানগুলো রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুরপাল্লার গাড়িও বন্ধ করা হয়েছে। জনগণকে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। সুস্থতা নিজের জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

দোকান খোলা রাখতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

Update Time : ১০:২০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
মো: রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:
করোনা মহামারীর জন্য সরকারি ভাবে সাড়াদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ।সাড়াদেশের ন্যায় পঞ্চগড়েও  চলছে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন। তবে লকডাউনের প্রথমদিনেই দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
.
সোমবার(৫- এপ্রিল) বিকেল ৫ টার সময় পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্ক চৌরঙ্গি মোরে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
.
দোকানপাট ও ব্যবসায়া প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় ব্যবসায়ীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করতে থাকেন।
.
এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  পুলিশ ও  নির্বাহি  ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত ঘটনাস্থথলে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীদের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে  ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফ হোসেন। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে যান।
.
ব্যবসায়ী নেতারা জানান,  কিছু দোকান খোলা থাকার কারণে ভ্রাম্যমাণ এসে জরিমানা শুরু করে। এতে আমরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হই ।আপাতত আন্দোলন স্থগিত করে দিলেও , দাবি মানা না হলে আবারও আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তারা।
.
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, গত বছর লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সামনে রমজান মাস। এবং কৃষকদের উত্পাদিত ফসল বিক্রি ও ব্যবসার মৌসুম। এসময় দোকানপাট বন্ধ থাকলে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার দাবিও জানান তারা। পঞ্চগড়  নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট  আরিফ হোসেন  বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে চান। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকেই সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। শপিং মল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই।
.
এ দিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে পঞ্চগড়ে  বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পড়লেও শারীরিক দুরত্বের  বোঝায়  ছিল না। কেউ কেউ মাস্ক পড়ছেন আগের মতোই থুতনিতে। সকাল থেকেই শহরের মার্কেট,  বন্ধ থাকলেও মুদিখানা, কাঁচাবাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয় শুধু  বড় বড় শপিং মল। লকডাউনে শহরে অটোরিকশা চলছে স্বাভাবিকভাবেই। সাধারণ মানুষের পদাচারনা দেখে বোঝার উপায় নেই লকডাউন আছে কি না।
.
এ বিষয়ে, পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেট ও বিপণীবিতানগুলো রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুরপাল্লার গাড়িও বন্ধ করা হয়েছে। জনগণকে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। সুস্থতা নিজের জন্য।