দেশ যাতে টিকা না পায়, সেজন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • / ১২২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে টিকা না পায় সেজন্য বিএনপির বৈদেশিক শাখা তলে তলে ষড়যন্ত্র করছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘দেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষাকল্পে সরকারের টিকা সংগ্রহের কাজের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি। এমনকি টিকা আসার পর তা যেন জনগণ না নেয়, সেজন্য টিকার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচারও চালিয়েছে। আবার ক’দিন পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিয়ে স্বস্তিপ্রকাশও করেছে।’

‘এখন যখন বাংলাদেশ বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে, সাতসমুদ্র পারে বিএনপি’র বৈদেশিক শাখাগুলো ভেতরে ভেতরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে বাংলাদেশ টিকা না পায়’ জানান ড. তথ্যমন্ত্রী। সেইসাথে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা, সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা আনবে এবং শিগগিরই আবার ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সাহায্যগ্রহীতা থেকে এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই উন্নয়ন -অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না বলেই তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন দেশে এসেছিলেন, সেসময় তিনি যেন দেশে না আসতে পারেন সেজন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমান ও তার সারকার নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, এমনকি দেশে এলেও যাতে জনসমাগম না হয়, সেজন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব তুচ্ছ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরেছেন এবং জনগণের রায়ে চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

৪০ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রমাণ করেছেন, শুধু সময়ের সাহসী সন্তানই নন, ষড়যন্ত্র-দুর্যোগের মধ্যেও অবিচল থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দেন তিনি, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান মাহমুদ এদিন সকালে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক এডভোকেট জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ অনলাইনে বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশ যাতে টিকা না পায়, সেজন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি

Update Time : ০৪:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে টিকা না পায় সেজন্য বিএনপির বৈদেশিক শাখা তলে তলে ষড়যন্ত্র করছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘দেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষাকল্পে সরকারের টিকা সংগ্রহের কাজের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি। এমনকি টিকা আসার পর তা যেন জনগণ না নেয়, সেজন্য টিকার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচারও চালিয়েছে। আবার ক’দিন পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিয়ে স্বস্তিপ্রকাশও করেছে।’

‘এখন যখন বাংলাদেশ বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে, সাতসমুদ্র পারে বিএনপি’র বৈদেশিক শাখাগুলো ভেতরে ভেতরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে বাংলাদেশ টিকা না পায়’ জানান ড. তথ্যমন্ত্রী। সেইসাথে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা, সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা আনবে এবং শিগগিরই আবার ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সাহায্যগ্রহীতা থেকে এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই উন্নয়ন -অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না বলেই তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন দেশে এসেছিলেন, সেসময় তিনি যেন দেশে না আসতে পারেন সেজন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমান ও তার সারকার নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, এমনকি দেশে এলেও যাতে জনসমাগম না হয়, সেজন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব তুচ্ছ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরেছেন এবং জনগণের রায়ে চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

৪০ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রমাণ করেছেন, শুধু সময়ের সাহসী সন্তানই নন, ষড়যন্ত্র-দুর্যোগের মধ্যেও অবিচল থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দেন তিনি, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান মাহমুদ এদিন সকালে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক এডভোকেট জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ অনলাইনে বক্তব্য রাখেন।