দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন টেকসই হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

  • Update Time : ০৯:০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • / 156

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন উন্নয়ন-অগ্রগতির মূল প্রতিপক্ষ দুর্নীতি। দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন টেকসই হয়।

তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে শুদ্ধাচার’ বিষয়ক কর্মশালা এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শ্রমিকরাই উৎপাদনের প্রাণ উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে দুর্নীতিমুক্ত- এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীপ্ত অঙ্গীকার। এজন্যই সরকার কৌশল পত্র তৈরি করেছে। বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অসাধুতা ও অনৈতিকতার চর্চারোধে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি দমনে শুদ্ধাচার প্রতিপালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অযথা ফাইল আটকে রাখাও শুদ্ধাচার পরিপন্থী। শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা সর্বদা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং সর্বোপরি শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশা করা বৃথা। শুদ্ধাচারের চর্চা না থাকলে বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি সহসাই বাসা বাঁধে। ফলে সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া চরম হুমকির মধ্যে পড়ে। ব্যক্তি ও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জীবন ধারণের জন্য ভালো আচরণ, ভালো রীতিনীতি, ভালো অভ্যাস রপ্ত ও পরিপালন করা অত্যাবশ্যক। সরকার দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং জনগণের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ জন্য সরকার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভাল কাজের স্বীকৃতি এবং আরো ভাল কাজে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য পুরস্কার প্রবর্তন করেছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজের জন্য এ বছর মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন অধিদপ্তরের যে তিনজন কর্মকর্তা- কর্মচারী পুরস্কার পেয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এবছর পুরস্কার প্রাপ্ত অধিদপ্তর পর্যায়ে সম্প্রতি বিদায়ী শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব একেএম মিজানুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মহিদুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম ষাঁট মুদ্রাক্ষরিক সাবেকুন নাহার এর হাতে পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র, ক্রেস্ট এবং একমাসের মুল বেতনের সমপরিমান অর্থের চেক তুলে দেন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বক্তৃতা করেন।

অনূষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক, বেগম জেবুন্নেছা করিম, ড. সেলিনা আক্তার, সাকিউন নাহার বেগম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, যুগ্মসচিব এবং উপসচিবগণসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশ গ্রহণ করেন। মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন টেকসই হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০৯:০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন উন্নয়ন-অগ্রগতির মূল প্রতিপক্ষ দুর্নীতি। দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন টেকসই হয়।

তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে শুদ্ধাচার’ বিষয়ক কর্মশালা এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শ্রমিকরাই উৎপাদনের প্রাণ উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে দুর্নীতিমুক্ত- এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীপ্ত অঙ্গীকার। এজন্যই সরকার কৌশল পত্র তৈরি করেছে। বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অসাধুতা ও অনৈতিকতার চর্চারোধে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি দমনে শুদ্ধাচার প্রতিপালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অযথা ফাইল আটকে রাখাও শুদ্ধাচার পরিপন্থী। শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা সর্বদা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং সর্বোপরি শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশা করা বৃথা। শুদ্ধাচারের চর্চা না থাকলে বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি সহসাই বাসা বাঁধে। ফলে সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া চরম হুমকির মধ্যে পড়ে। ব্যক্তি ও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জীবন ধারণের জন্য ভালো আচরণ, ভালো রীতিনীতি, ভালো অভ্যাস রপ্ত ও পরিপালন করা অত্যাবশ্যক। সরকার দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং জনগণের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ জন্য সরকার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভাল কাজের স্বীকৃতি এবং আরো ভাল কাজে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য পুরস্কার প্রবর্তন করেছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজের জন্য এ বছর মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন অধিদপ্তরের যে তিনজন কর্মকর্তা- কর্মচারী পুরস্কার পেয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এবছর পুরস্কার প্রাপ্ত অধিদপ্তর পর্যায়ে সম্প্রতি বিদায়ী শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব একেএম মিজানুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মহিদুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম ষাঁট মুদ্রাক্ষরিক সাবেকুন নাহার এর হাতে পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র, ক্রেস্ট এবং একমাসের মুল বেতনের সমপরিমান অর্থের চেক তুলে দেন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বক্তৃতা করেন।

অনূষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক, বেগম জেবুন্নেছা করিম, ড. সেলিনা আক্তার, সাকিউন নাহার বেগম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, যুগ্মসচিব এবং উপসচিবগণসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশ গ্রহণ করেন। মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।