‘ থানা থেকে এসআই সুমন বলছি, বাঁচতে চাইলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় আয়।

  • Update Time : ০৩:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / 64

এনামুল হক, গাইবান্ধা:

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই পরিচয়ে আশেক আলী নামের এক ভুক্তভোগীর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া (২৭) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আশেক আলী।

২৫ জুন ( মঙ্গলবার) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমএ আজিজ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভুয়া পুলিশ পরিচয়কারী সুমন উপজেলার রামভদ্র গ্রামের খানাবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী আশেক আলী প. বৈদ্যনাথ গ্রামের গান্ডারপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া ওরফে নাড়িয়ার ছেলে।

থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে আশেক আলীর বাড়িতে ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আসেন। এসময় আশেক আলীর পিতা বাদশা মিয়া তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ভোঁদৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পালানোর সময় ভুলবশত একটি মুঠোফোন আশেক আলীর বাড়িতে রেখে আসেন তারা। ঘটনার দুই দিন পর গত রবিবার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুমন পরিচয়ে আশেক আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং ফেলে আসা মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ডাকেন কথিত এসআই সুমন।

পরে আশেক আলী নিরুপায় হয়ে নগদ ২০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে এসআই সুমনের নম্বরটি ডিউটিরত পুলিশ সদস্য এসআই জুলিহাসকে দেখিয়ে পুরো ঘটনাটি খুলে বললে, ডিউটিরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক তদন্ত করে জানতে পারেন , সুমন নামের কোনো পুলিশ সদস্য তাদের থানায় নেই।
9
পরে আশেক আলী ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার  মো. কামাল হোসেন পিপিএম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘ থানা থেকে এসআই সুমন বলছি, বাঁচতে চাইলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় আয়।

Update Time : ০৩:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

এনামুল হক, গাইবান্ধা:

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই পরিচয়ে আশেক আলী নামের এক ভুক্তভোগীর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া (২৭) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আশেক আলী।

২৫ জুন ( মঙ্গলবার) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমএ আজিজ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভুয়া পুলিশ পরিচয়কারী সুমন উপজেলার রামভদ্র গ্রামের খানাবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী আশেক আলী প. বৈদ্যনাথ গ্রামের গান্ডারপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া ওরফে নাড়িয়ার ছেলে।

থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে আশেক আলীর বাড়িতে ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আসেন। এসময় আশেক আলীর পিতা বাদশা মিয়া তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ভোঁদৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পালানোর সময় ভুলবশত একটি মুঠোফোন আশেক আলীর বাড়িতে রেখে আসেন তারা। ঘটনার দুই দিন পর গত রবিবার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুমন পরিচয়ে আশেক আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং ফেলে আসা মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ডাকেন কথিত এসআই সুমন।

পরে আশেক আলী নিরুপায় হয়ে নগদ ২০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে এসআই সুমনের নম্বরটি ডিউটিরত পুলিশ সদস্য এসআই জুলিহাসকে দেখিয়ে পুরো ঘটনাটি খুলে বললে, ডিউটিরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক তদন্ত করে জানতে পারেন , সুমন নামের কোনো পুলিশ সদস্য তাদের থানায় নেই।
9
পরে আশেক আলী ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী সুমনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার  মো. কামাল হোসেন পিপিএম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।