তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৯০ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। সময় যতোই গড়াচ্ছে, তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলুর ভোটের ব্যবধান ততোই কমছে। শুরুতে এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কামালের ভোট সংখ্যা। এতে কোনো প্রার্থীই সম্ভবত প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট নিশ্চিত করতে পারবেন না। ফলে নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে ভোটে জয় নিশ্চিত করতে হলে তাকে মোট গৃহীত ভোটের ৫০ শতাংশ পেতে হয়। গতকাল রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি। কোনো প্রার্থীকে জয় নিশ্চিত করতে এই ভোটের কমপক্ষে অর্ধেক পেতে হবে।

রোববার রাত ১২টা ১০ মিনিটে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গণনা হওয়া ভোটের যে ফল বেসরকারিভাবে পাওয়া যাচ্ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এই নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসাব বলছে, গত সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট গণনা দেখা যাচ্ছে, এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়

Update Time : ১০:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। সময় যতোই গড়াচ্ছে, তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলুর ভোটের ব্যবধান ততোই কমছে। শুরুতে এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কামালের ভোট সংখ্যা। এতে কোনো প্রার্থীই সম্ভবত প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট নিশ্চিত করতে পারবেন না। ফলে নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে ভোটে জয় নিশ্চিত করতে হলে তাকে মোট গৃহীত ভোটের ৫০ শতাংশ পেতে হয়। গতকাল রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি। কোনো প্রার্থীকে জয় নিশ্চিত করতে এই ভোটের কমপক্ষে অর্ধেক পেতে হবে।

রোববার রাত ১২টা ১০ মিনিটে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গণনা হওয়া ভোটের যে ফল বেসরকারিভাবে পাওয়া যাচ্ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এই নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসাব বলছে, গত সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট গণনা দেখা যাচ্ছে, এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।