তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১২৩ Time View

জেলা প্রতিনিধিঃ 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়ও থেমে থেমে গুলি বিনিময় হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত গোলাগুলি বন্ধ ছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। শনিবার সকাল ৮টায়ও গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবাসীদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের আনাগোনা বন্ধে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) সংশ্লিষ্টরা।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরএসও’র সদস্যদের প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানিয়েছেন, তিনি নতুন করে গোলাগুলির খবর পাননি।

তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। শূন্যরেখায় নতুন করে গোলাগুলির খবর আমার জানা নেই। ঘটনার জেরে পালিয়ে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো সেখানে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, আপাতত আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

রোমেন জানান, ঘটনাস্থল সীমান্তের শূন্যরেখায় হওয়া আন্তর্জাতিক রীতিমতে সরেজমিন পরিদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শূন্যরেখা ও মিয়ানমার সীমান্ত অভ্যন্তরে কি ঘটছে সেটার প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না।

চলমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার সকাল থেকে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গ্রুপ ‘আরসা ও আরএসও’ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং এক শিশুসহ দুইজন আহত হন। সংঘর্ষে নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এক ব্যক্তি ‘আরএসও’ লেখা সম্বলিত বিশেষ পোষাক পরিহিত ছিলেন

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত

Update Time : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

জেলা প্রতিনিধিঃ 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়ও থেমে থেমে গুলি বিনিময় হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত গোলাগুলি বন্ধ ছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। শনিবার সকাল ৮টায়ও গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবাসীদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের আনাগোনা বন্ধে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) সংশ্লিষ্টরা।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরএসও’র সদস্যদের প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানিয়েছেন, তিনি নতুন করে গোলাগুলির খবর পাননি।

তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। শূন্যরেখায় নতুন করে গোলাগুলির খবর আমার জানা নেই। ঘটনার জেরে পালিয়ে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো সেখানে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, আপাতত আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

রোমেন জানান, ঘটনাস্থল সীমান্তের শূন্যরেখায় হওয়া আন্তর্জাতিক রীতিমতে সরেজমিন পরিদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শূন্যরেখা ও মিয়ানমার সীমান্ত অভ্যন্তরে কি ঘটছে সেটার প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না।

চলমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার সকাল থেকে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গ্রুপ ‘আরসা ও আরএসও’ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং এক শিশুসহ দুইজন আহত হন। সংঘর্ষে নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এক ব্যক্তি ‘আরএসও’ লেখা সম্বলিত বিশেষ পোষাক পরিহিত ছিলেন