তালা ভেঙে এবার হলে প্রবেশ করলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪০১ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ঢাবি শহীদুল্লাহ হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

একই দাবিতে দেশের আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

সোমবার দুপুরে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে শহীদুল্লাহ হলে ঢুকেছে বলে জানা গেছে। এসময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কিছু হলের রুমে ঢুকে পড়েছে, আর একদল শিক্ষার্থী হল মাঠে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘ এক বছর আমাদের হল বন্ধ। আমরা আর বাড়িতে থাকতে পারছি না। তাই জোর করে উঠেছি এবং এখন থেকে হলে অবস্থান করব।

হলের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা বাধা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, হল গেটে যারা ছিলেন তারা আমাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাই হলের তালা খুলে দিয়েছেন। আমাদের কেউ বাধা দেয়নি। আমরা একসঙ্গে যখন আসছি তখন হলের তালা গেটের কর্মচারীরাই খুলে দিয়েছে। আমরা এখন প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত। ইতোমধ্যে আমি হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বলে দিয়েছি, আর সহকারী প্রক্টরও হলের দিকে যাচ্ছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

তালা ভেঙে এবার হলে প্রবেশ করলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০১:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ঢাবি শহীদুল্লাহ হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

একই দাবিতে দেশের আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

সোমবার দুপুরে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে শহীদুল্লাহ হলে ঢুকেছে বলে জানা গেছে। এসময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কিছু হলের রুমে ঢুকে পড়েছে, আর একদল শিক্ষার্থী হল মাঠে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘ এক বছর আমাদের হল বন্ধ। আমরা আর বাড়িতে থাকতে পারছি না। তাই জোর করে উঠেছি এবং এখন থেকে হলে অবস্থান করব।

হলের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা বাধা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, হল গেটে যারা ছিলেন তারা আমাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাই হলের তালা খুলে দিয়েছেন। আমাদের কেউ বাধা দেয়নি। আমরা একসঙ্গে যখন আসছি তখন হলের তালা গেটের কর্মচারীরাই খুলে দিয়েছে। আমরা এখন প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত। ইতোমধ্যে আমি হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বলে দিয়েছি, আর সহকারী প্রক্টরও হলের দিকে যাচ্ছেন।