ঢাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরেছেন প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চাওয়া ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৬ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহারের পদত্যাগের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করেছেন হলের ছাত্রীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা অবস্থান শুরু করেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা হলে ফিরে যান।

অবস্থানরত ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাদের হলে আবাসন সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। হলের খাবার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা ভালো নয়। ক্যাম্পাসে যাতায়াতের ব্যবস্থা অপ্রতুল। মেয়েরা অসুস্থ হলে প্রাধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। উল্টো তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

জানা যায়, সরস্বতী পূজা কেন্দ্র করে মেয়েদের বাকি হল বর্ণিল সাজে সাজানো হলেও মৈত্রী হলে লাইটিং কিংবা সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জগন্নাথ হলে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কুয়েত-মৈত্রী হল পরিদর্শনে যান। তখন প্রাধ্যক্ষ নাজমুন নাহার হলে ছিলেন না। দীর্ঘদিনে হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ায় অটল থাকেন। এরপর প্রক্টর ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা ও বিড়ম্বনার কথা শোনেন। পরে মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও জান্নাতুল হাওয়া আঁখিসহ ছয়জন ছাত্রী প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।

অবস্থানরত ছাত্রীদের একজন সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন, উপাচার্য স্যারকে আমাদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে শুনছেন। তিনি দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলেছেন। প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ফলোআপ রাখবো। দাবিগুলো কতটুকু কার্যকর হয় তা খেয়াল রাখবো। যদি প্রশাসন কোন ধরণের হেরফের করে, দাবিগুলো না মানে এবং প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা পুনরায় আন্দোলন করবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের কথাগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে। সেগুলোর সমাধান কোন কঠিন বিষয় নয়। কিছু সমস্যা হলে রয়েছে। কিছু বিষয় আমলে নিলে, আন্তরিক হলে সমস্যার সমাধান করা যায়৷

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরেছেন প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চাওয়া ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা

Update Time : ০১:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহারের পদত্যাগের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করেছেন হলের ছাত্রীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা অবস্থান শুরু করেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা হলে ফিরে যান।

অবস্থানরত ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাদের হলে আবাসন সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। হলের খাবার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা ভালো নয়। ক্যাম্পাসে যাতায়াতের ব্যবস্থা অপ্রতুল। মেয়েরা অসুস্থ হলে প্রাধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। উল্টো তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

জানা যায়, সরস্বতী পূজা কেন্দ্র করে মেয়েদের বাকি হল বর্ণিল সাজে সাজানো হলেও মৈত্রী হলে লাইটিং কিংবা সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জগন্নাথ হলে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কুয়েত-মৈত্রী হল পরিদর্শনে যান। তখন প্রাধ্যক্ষ নাজমুন নাহার হলে ছিলেন না। দীর্ঘদিনে হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ায় অটল থাকেন। এরপর প্রক্টর ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা ও বিড়ম্বনার কথা শোনেন। পরে মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও জান্নাতুল হাওয়া আঁখিসহ ছয়জন ছাত্রী প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।

অবস্থানরত ছাত্রীদের একজন সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন, উপাচার্য স্যারকে আমাদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে শুনছেন। তিনি দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলেছেন। প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ফলোআপ রাখবো। দাবিগুলো কতটুকু কার্যকর হয় তা খেয়াল রাখবো। যদি প্রশাসন কোন ধরণের হেরফের করে, দাবিগুলো না মানে এবং প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা পুনরায় আন্দোলন করবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের কথাগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে। সেগুলোর সমাধান কোন কঠিন বিষয় নয়। কিছু সমস্যা হলে রয়েছে। কিছু বিষয় আমলে নিলে, আন্তরিক হলে সমস্যার সমাধান করা যায়৷