ডিমলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৪৭ Time View

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী:

সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জোত নবীনগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ভার্চ্যুয়ালী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দা) মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইবনুল আবেদিন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সরকার ফারহানা আকতার সুমি, পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেজবাহুর রহমান, ত্রাণ শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।.

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, লবন, চিনি, ১ লিটার তৈল, ২০০ গ্রাম হলুদ গুড়া, ১০০ গ্রাম করে মরিচ গুড়া ও ধুনিয়া গুড়া।

তিস্তার বন্যায় সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রাম।

শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সামগ্রী বিতরন করার কথা ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি’র। কিন্তু তিনি কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট ও রংপুরের বন্যা কবলিত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে সন্ধ্যা হওয়ায় তিনি বিতরণে উপস্থিত হতে পারেননি।.

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ধনী সরকার। কোনো অভাব নেই বর্তমান সরকারের আমলে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে এখনো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষ সরকারের সহায়তা পাবেন ও তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করা হবে।.

শুক্রবার(২২ অক্টোবর) আটটার দিকে নীলফামারী সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উজানের ঢলের ফলে যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের নতুন করে ঘর করে দেয়া হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিস্তায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব বাঁধ নতুন করে তৈরি করতে দ্রুত আন্ত: মন্ত্রণালয়(পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়) সাথে বৈঠক আহবান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।.

এ সময় মন্ত্রী দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা প্রদানে মন্ত্রণালয়ে লেখার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। মতবিনিময় শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।.

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭১৫টি পরিবারের নাম প্রথম পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন সহ ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। এজন্য ঘর প্রতি প্রায় ২ লাখ টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ৪০ মেঃ টন ও উপজেলার ৯ মেঃ টন চাল রবিবার থেকে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে বিতরণ শুরু করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ডিমলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

Update Time : ০৬:০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী:

সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জোত নবীনগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ভার্চ্যুয়ালী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দা) মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইবনুল আবেদিন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সরকার ফারহানা আকতার সুমি, পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেজবাহুর রহমান, ত্রাণ শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।.

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, লবন, চিনি, ১ লিটার তৈল, ২০০ গ্রাম হলুদ গুড়া, ১০০ গ্রাম করে মরিচ গুড়া ও ধুনিয়া গুড়া।

তিস্তার বন্যায় সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রাম।

শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সামগ্রী বিতরন করার কথা ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি’র। কিন্তু তিনি কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট ও রংপুরের বন্যা কবলিত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে সন্ধ্যা হওয়ায় তিনি বিতরণে উপস্থিত হতে পারেননি।.

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ধনী সরকার। কোনো অভাব নেই বর্তমান সরকারের আমলে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে এখনো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষ সরকারের সহায়তা পাবেন ও তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করা হবে।.

শুক্রবার(২২ অক্টোবর) আটটার দিকে নীলফামারী সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উজানের ঢলের ফলে যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের নতুন করে ঘর করে দেয়া হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিস্তায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব বাঁধ নতুন করে তৈরি করতে দ্রুত আন্ত: মন্ত্রণালয়(পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়) সাথে বৈঠক আহবান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।.

এ সময় মন্ত্রী দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা প্রদানে মন্ত্রণালয়ে লেখার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। মতবিনিময় শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।.

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭১৫টি পরিবারের নাম প্রথম পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন সহ ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। এজন্য ঘর প্রতি প্রায় ২ লাখ টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ৪০ মেঃ টন ও উপজেলার ৯ মেঃ টন চাল রবিবার থেকে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে বিতরণ শুরু করেছে।