ডিআরইউ অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিক শাহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:১৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ৫৩০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এনটিভির স্পেশাল করেসপনডেন্ট সফিক শাহীন। সেবা খাত তথা গণপরিবহণের অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তাঁকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ক্রেস্ট, সনদ ও ৭৫ হাজার টাকা শফিক শাহীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।একইভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ২২ সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

তৃতীয় বারের মতো এই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শফিক শাহীন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশু এবং নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল এবং জুরি বোর্ডের প্রধান সাংবাদিক শাহজাহান সরদার।

এবার নগদের সৌজন্যে ২২ জন গণমাধ্যম কর্মীকে ৭৫ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। পত্রিকা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১৩ জন এবং টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য নয়জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ, মানবাধিকার, তথ্য প্রযুক্তি ও সেবা খাতে পুরস্কার পান প্রতিবেদকরা।

গণপরিবহণে মালিক-শ্রমিকদের চাঁদাবাজি প্রকাশ্য, ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যের টাকা নেওয়ার দৃশ্যে একটু রাখঢাক আছে হয়তো। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ঘুষ নেন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে। সফিক শাহীনের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে পান দোকানি ও মিষ্টির শোরুমে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা টাকা রেখে যেতে বাধ্য হন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্য। পরে সুবিধামতো সময়ে সেই টাকা দিয়ে আসেন পান দোকানি ও মিষ্টি বিক্রেতারা। না দিলে টাকা, চলবে না চাকা। দিলে টাকা, চলবে চাকা। এই সূত্রে ঢাকায় চলে গাড়ির চাকা।

বাসের আকৃতি পরিবর্তন করে সিট বাড়ান বাস মালিকরা। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। চেচিস বাড়িয়ে যেসব গাড়ি তৈরি ও মেরামত কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে গণপরিবহন, সেইসব কারখানারও নেই কোনো অনুমোদন। সফিক শাহীন অনুসন্ধান করে খুঁজে পান রুট ছিনতাইয়ের ভয়ংকর খবর। রুটে বাস চলাচলের অনুমোদনের চার-পাঁচ গুণ বেশি চলে, ফলে অসুস্থ ও নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতায় প্রাণ যায় যাত্রীদের।

এমন নানা অসংগতি ও দুর্নীতির বড় বড় গর্ত ধরা পড়ে পাঁচ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। যা এনটিভিতে সম্প্রচার হয় এ বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সফিক শাহীনকে আজ সম্মানিত করল সাংবাদিকদের পেশাদার সংগঠন ডিআরইউ।

‘পুরান ঢাকায় মানুষ বাড়ে কিন্তু জমি বাড়ে না’ এই শিরোনামে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ২০১৯ সালে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন সফিক শাহীন। কোনো রোগ ছাড়াই পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় অজ্ঞাত পরিচয় হায়াতুন্নেছা, কেউ জানে না তাঁর না পরিচয়। সেই হায়াতুন্নেছার পরিচয় নিশ্চিত করে তাঁকে শরীয়তপুরের বাড়িতে পৌঁছে দেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সফিক শাহীন। সেই মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিআরইউ বর্ষসেরা পুরস্কার ২০১৬ অর্জন করেন সফিক শাহীন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ডিআরইউ অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিক শাহীন

Update Time : ০৯:১৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এনটিভির স্পেশাল করেসপনডেন্ট সফিক শাহীন। সেবা খাত তথা গণপরিবহণের অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তাঁকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ক্রেস্ট, সনদ ও ৭৫ হাজার টাকা শফিক শাহীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।একইভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ২২ সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

তৃতীয় বারের মতো এই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শফিক শাহীন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশু এবং নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল এবং জুরি বোর্ডের প্রধান সাংবাদিক শাহজাহান সরদার।

এবার নগদের সৌজন্যে ২২ জন গণমাধ্যম কর্মীকে ৭৫ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। পত্রিকা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১৩ জন এবং টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য নয়জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ, মানবাধিকার, তথ্য প্রযুক্তি ও সেবা খাতে পুরস্কার পান প্রতিবেদকরা।

গণপরিবহণে মালিক-শ্রমিকদের চাঁদাবাজি প্রকাশ্য, ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যের টাকা নেওয়ার দৃশ্যে একটু রাখঢাক আছে হয়তো। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ঘুষ নেন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে। সফিক শাহীনের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে পান দোকানি ও মিষ্টির শোরুমে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা টাকা রেখে যেতে বাধ্য হন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্য। পরে সুবিধামতো সময়ে সেই টাকা দিয়ে আসেন পান দোকানি ও মিষ্টি বিক্রেতারা। না দিলে টাকা, চলবে না চাকা। দিলে টাকা, চলবে চাকা। এই সূত্রে ঢাকায় চলে গাড়ির চাকা।

বাসের আকৃতি পরিবর্তন করে সিট বাড়ান বাস মালিকরা। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। চেচিস বাড়িয়ে যেসব গাড়ি তৈরি ও মেরামত কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে গণপরিবহন, সেইসব কারখানারও নেই কোনো অনুমোদন। সফিক শাহীন অনুসন্ধান করে খুঁজে পান রুট ছিনতাইয়ের ভয়ংকর খবর। রুটে বাস চলাচলের অনুমোদনের চার-পাঁচ গুণ বেশি চলে, ফলে অসুস্থ ও নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতায় প্রাণ যায় যাত্রীদের।

এমন নানা অসংগতি ও দুর্নীতির বড় বড় গর্ত ধরা পড়ে পাঁচ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। যা এনটিভিতে সম্প্রচার হয় এ বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সফিক শাহীনকে আজ সম্মানিত করল সাংবাদিকদের পেশাদার সংগঠন ডিআরইউ।

‘পুরান ঢাকায় মানুষ বাড়ে কিন্তু জমি বাড়ে না’ এই শিরোনামে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ২০১৯ সালে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন সফিক শাহীন। কোনো রোগ ছাড়াই পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় অজ্ঞাত পরিচয় হায়াতুন্নেছা, কেউ জানে না তাঁর না পরিচয়। সেই হায়াতুন্নেছার পরিচয় নিশ্চিত করে তাঁকে শরীয়তপুরের বাড়িতে পৌঁছে দেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সফিক শাহীন। সেই মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিআরইউ বর্ষসেরা পুরস্কার ২০১৬ অর্জন করেন সফিক শাহীন।