চুমু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪১২ Time View

 

চুমু খেলে ক্যালরি পোড়ে এ খবর বেশ পুরোনো। নতুন খবর হলো বারবার চুমু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাগ হোক বা প্রেম, খুশির সংবাদ হোক বা দুঃখের- চুমু খান!

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, চুমু খেলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আদান প্রদান হয়। ঠোঁটে ঠোঁটে চুমুর কারণে এর প্রশারও হয় ব্যাপক। দীর্ঘক্ষণ চুম্বনে নারী-পুরুষ দুজনের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ করলেই বাড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি।

নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লায়েড সাইন্টিফিক রিসার্চের এক দল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় এই ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, চুমু খাওয়ার সময়ে দুজনের জিভ স্পর্শে আসে। এক জনের লালা পৌঁছায় অন্যের শরীরে। ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাক্টেরিয়া বিনিময় হয় সঙ্গীদের দেহে। এটি ক্রিয়া করে প্রবেশের মাধ্যমে। পরে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

প্রেমিক যুগল সবসময় নিজেদের সঙ্গ পেতে চায়। পাশাপাশি বা কাছাকাছি থাকলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা গভীর করে চুমু। তাই গবেষকরা বলছেন, রাগ হোক বা প্রেম, খুশির সংবাদ হোক বা দুঃখের অন্তত আট-নয়বার চুমু খান!

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে চুম্বনের সম্পর্ক নিয়ে এর আগে গবেষণা হয়নি। তবে আগে অনেক বিজ্ঞানীই জানিয়েছেন যে, শরীর যত ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে পরিচিত হবে, ততই বাড়বে রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা। চুম্বন সেই কাজটাই করে। এক ব্যক্তির শরীরে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া আর এক জনের দেহে যায়।

চুমুর আরও কিছু ভালো দিক আছে। যেমন- চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। জন্মগত চোখের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জন্মগত জটিল রোগও সেরে যায়। ঠোঁটের সংস্পর্শে সাইটোমেগালোভাইরাস শরীরের নানা উপকার করে। তাই বলা হচ্ছে অন্তসত্ত্বা অবস্থাতেও এই অভ্যাস জারি রাখলে হবু সন্তানের জিনগত কোনো ত্রুটি থাকে না।

চুমু যেকোনো সম্পর্ককে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে। ঠোঁট, চিবুক, জিভে জিভ ঠেকিয়ে গভীর চুমুতে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে আপনি আপনার প্রিয়জনের একটা গন্ধ পান। সেখান থেকেই তৈরি হয় গভীর বন্ধন।

ক্যালোরি পোড়াতে পাঁচ মিনিট টানা চুমু খেতে হবে। এই পদ্ধতি মোটামুটি ১০ মিনিট ট্রেডমিলে দৌঁড়ানোর সমান।

চুমু মুখের পেশি শক্ত থাকে। মুখের চামড়া দীর্ঘদিন টানটান থাকে। চিবুক শক্ত থাকে। গবেষণা বলছে চুমু খাওয়ার সময় মুখের ৩০ টি পেশি একসঙ্গে সক্রিয় থাকে।

স্ট্রেস থেকে মুক্তি- দৈনন্দিন জীবনে চাপ কার থাকে না। প্রতিনিয়ত বাড়ি অফিস সবখানেই নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। সেক্ষেত্রে একটু চুমু খেলে শরীর থেকে ফিল গুড হরমোন নির্গত হয়। যা আপনাকে স্ট্রেস ফ্রি রাখবে। এমনকি আপনাকে রোম্যান্টিকও করে তুলবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চুমু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

Update Time : ১২:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

 

চুমু খেলে ক্যালরি পোড়ে এ খবর বেশ পুরোনো। নতুন খবর হলো বারবার চুমু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাগ হোক বা প্রেম, খুশির সংবাদ হোক বা দুঃখের- চুমু খান!

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, চুমু খেলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আদান প্রদান হয়। ঠোঁটে ঠোঁটে চুমুর কারণে এর প্রশারও হয় ব্যাপক। দীর্ঘক্ষণ চুম্বনে নারী-পুরুষ দুজনের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ করলেই বাড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি।

নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লায়েড সাইন্টিফিক রিসার্চের এক দল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় এই ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, চুমু খাওয়ার সময়ে দুজনের জিভ স্পর্শে আসে। এক জনের লালা পৌঁছায় অন্যের শরীরে। ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাক্টেরিয়া বিনিময় হয় সঙ্গীদের দেহে। এটি ক্রিয়া করে প্রবেশের মাধ্যমে। পরে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

প্রেমিক যুগল সবসময় নিজেদের সঙ্গ পেতে চায়। পাশাপাশি বা কাছাকাছি থাকলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা গভীর করে চুমু। তাই গবেষকরা বলছেন, রাগ হোক বা প্রেম, খুশির সংবাদ হোক বা দুঃখের অন্তত আট-নয়বার চুমু খান!

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে চুম্বনের সম্পর্ক নিয়ে এর আগে গবেষণা হয়নি। তবে আগে অনেক বিজ্ঞানীই জানিয়েছেন যে, শরীর যত ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে পরিচিত হবে, ততই বাড়বে রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা। চুম্বন সেই কাজটাই করে। এক ব্যক্তির শরীরে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া আর এক জনের দেহে যায়।

চুমুর আরও কিছু ভালো দিক আছে। যেমন- চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। জন্মগত চোখের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জন্মগত জটিল রোগও সেরে যায়। ঠোঁটের সংস্পর্শে সাইটোমেগালোভাইরাস শরীরের নানা উপকার করে। তাই বলা হচ্ছে অন্তসত্ত্বা অবস্থাতেও এই অভ্যাস জারি রাখলে হবু সন্তানের জিনগত কোনো ত্রুটি থাকে না।

চুমু যেকোনো সম্পর্ককে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে। ঠোঁট, চিবুক, জিভে জিভ ঠেকিয়ে গভীর চুমুতে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে আপনি আপনার প্রিয়জনের একটা গন্ধ পান। সেখান থেকেই তৈরি হয় গভীর বন্ধন।

ক্যালোরি পোড়াতে পাঁচ মিনিট টানা চুমু খেতে হবে। এই পদ্ধতি মোটামুটি ১০ মিনিট ট্রেডমিলে দৌঁড়ানোর সমান।

চুমু মুখের পেশি শক্ত থাকে। মুখের চামড়া দীর্ঘদিন টানটান থাকে। চিবুক শক্ত থাকে। গবেষণা বলছে চুমু খাওয়ার সময় মুখের ৩০ টি পেশি একসঙ্গে সক্রিয় থাকে।

স্ট্রেস থেকে মুক্তি- দৈনন্দিন জীবনে চাপ কার থাকে না। প্রতিনিয়ত বাড়ি অফিস সবখানেই নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। সেক্ষেত্রে একটু চুমু খেলে শরীর থেকে ফিল গুড হরমোন নির্গত হয়। যা আপনাকে স্ট্রেস ফ্রি রাখবে। এমনকি আপনাকে রোম্যান্টিকও করে তুলবে।