চার সংগঠনের নতুন জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২১১ Time View

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে পালনের ঘোষণা দিয়েছে চারটি সংগঠন। এজন্য নতুন এ জোট ১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি চার দিনের কর্মসূচি নিয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জোটের সংগঠন চারটি হলো- ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্রচিন্তা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ অসুস্থতাজনিত কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। চার সংগঠনের চার দিনের কর্মসূচির মধ্যে আছে ১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবর্ণজয়ন্তী সমাবেশ, ২৬ মার্চ নিজ-নিজ সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস পালন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম এবং ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারই তাকে এ খেতাব দিয়েছিল। ৫০ বছর পর তার পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকার কথা বলে ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিল করলে তা আগামীতে প্রত্যেকেরই খেতাব কেড়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। এজন্য এ ধরনের সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।

সাকি আরও বলেন, আমরা গণমানুষের রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই। তারই অংশ হিসেবে একসঙ্গে কিছু কাজ করছি। এটাই আমাদের ঐক্যের ভিত্তি। আপাতত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য।

নুরুল হক নুর বলেন, বীরউত্তম এমন একটি খেতাব, যা যাকে-তাকে দেওয়া হয়নি। খেতাব বাতিলের এখতিয়ার জামুকার নেই। জিয়াউর রহমানের খেতাব নিয়ে টানাটানি একটি নোংরামি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষ এ ঘটনায় সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে। যারা তার খেতাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাবির সাবেক এ ভিপি বলেন, আলজাজিরা সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এ কারণেই তারা ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে খেতাব বিতর্ক শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। সূত্রঃ সমকাল

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চার সংগঠনের নতুন জোট

Update Time : ০১:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে পালনের ঘোষণা দিয়েছে চারটি সংগঠন। এজন্য নতুন এ জোট ১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি চার দিনের কর্মসূচি নিয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জোটের সংগঠন চারটি হলো- ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্রচিন্তা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ অসুস্থতাজনিত কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। চার সংগঠনের চার দিনের কর্মসূচির মধ্যে আছে ১ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুবর্ণজয়ন্তী সমাবেশ, ২৬ মার্চ নিজ-নিজ সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস পালন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম এবং ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারই তাকে এ খেতাব দিয়েছিল। ৫০ বছর পর তার পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকার কথা বলে ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিল করলে তা আগামীতে প্রত্যেকেরই খেতাব কেড়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। এজন্য এ ধরনের সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।

সাকি আরও বলেন, আমরা গণমানুষের রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই। তারই অংশ হিসেবে একসঙ্গে কিছু কাজ করছি। এটাই আমাদের ঐক্যের ভিত্তি। আপাতত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য।

নুরুল হক নুর বলেন, বীরউত্তম এমন একটি খেতাব, যা যাকে-তাকে দেওয়া হয়নি। খেতাব বাতিলের এখতিয়ার জামুকার নেই। জিয়াউর রহমানের খেতাব নিয়ে টানাটানি একটি নোংরামি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষ এ ঘটনায় সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে। যারা তার খেতাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাবির সাবেক এ ভিপি বলেন, আলজাজিরা সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এ কারণেই তারা ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে খেতাব বিতর্ক শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। সূত্রঃ সমকাল