চট্টগ্রামে লাইটারেজ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৮৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে লাইটারেজ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ও পরিবহণের কাজ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

পাঁচ দফা দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে এ ধর্মঘট শুরু হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে- লাইটারেজ শ্রমিকদের ওঠানামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, পতেঙ্গা থানার ওসিকে অপসারণ এবং সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটারেজ জাহাজের জন্য নিরাপদ পোতাশ্রয় নির্মাণের কথা রয়েছে।

লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তা বিবেচনায় কর্ণফুলী নদীর বদলে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ লাইটারেজ জাহাজগুলো পতেঙ্গা সি বিচের কাছে সাগরে নোঙ্গর করা হতো। সেখানকার শ্রমিকদের যাওয়া আসার জন্য ব্যবহার করা হতো পতেঙ্গার চরপাড়া ঘাট। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি ইজারা দেয়।

ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, চরপাড়া ঘাট শুধুমাত্র তাদের শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দর চেয়ারম্যান কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সেটি ইজারা দেয়। ইজারাদাররা ওই ঘাটে আমাদের কিছু শ্রমিককে কয়েকবার মারধরও করে। গত ৩ নভেম্বর আমাদের ১০-১২ জন শ্রমিককে মারধর করার পর প্রতিবাদ হিসেবে পারকি সংলগ্ন এলাকার চাইনিজ ঘাট ব্যবহার শুরু করলে সেটিও বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সমাবেশ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামে লাইটারেজ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

Update Time : ০৮:১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে লাইটারেজ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ও পরিবহণের কাজ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

পাঁচ দফা দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে এ ধর্মঘট শুরু হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে- লাইটারেজ শ্রমিকদের ওঠানামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, পতেঙ্গা থানার ওসিকে অপসারণ এবং সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটারেজ জাহাজের জন্য নিরাপদ পোতাশ্রয় নির্মাণের কথা রয়েছে।

লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তা বিবেচনায় কর্ণফুলী নদীর বদলে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ লাইটারেজ জাহাজগুলো পতেঙ্গা সি বিচের কাছে সাগরে নোঙ্গর করা হতো। সেখানকার শ্রমিকদের যাওয়া আসার জন্য ব্যবহার করা হতো পতেঙ্গার চরপাড়া ঘাট। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি ইজারা দেয়।

ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, চরপাড়া ঘাট শুধুমাত্র তাদের শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দর চেয়ারম্যান কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সেটি ইজারা দেয়। ইজারাদাররা ওই ঘাটে আমাদের কিছু শ্রমিককে কয়েকবার মারধরও করে। গত ৩ নভেম্বর আমাদের ১০-১২ জন শ্রমিককে মারধর করার পর প্রতিবাদ হিসেবে পারকি সংলগ্ন এলাকার চাইনিজ ঘাট ব্যবহার শুরু করলে সেটিও বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সমাবেশ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়।