চট্টগ্রামেও বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৫৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। নগরীতে তেমন একটা প্রাদুর্ভাব দেখা না গেলেও উপজেলায় গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার অধিকাংশই শিশু। চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের ডায়রিয়া কর্নারে বুধবার ভর্তি ছিলো ১০ শিশু।

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে খুব বেশী না হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের এই সময়ে বাড়ছে ডায়রিয়া বা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।

নগরীর চেয়ে উপজেলা পর্যায়ে তুলনামূলক বেশি ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী কার্যালয়ের তথ্যের বরাতে জানান, গত তিনদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ১শ জনের উপরে ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ বলছেন, গরমে খুব দ্রুত সময়ে খাবার নষ্ট হয়ে তার মাধ্যমে যেমন পেটের পীড়া দেখা দেয় তেমনি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় সামান্য অপরিচ্ছন্নতায় জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা।

পানিশূণ্যতা দূর করতে আক্রান্তদের বেশি বেশি স্যালাইনসহ পুষ্টিকর তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের আশ্বাস, রোগী বাড়লেও চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে হাসপাতালগুলোতে।

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামেও বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

Update Time : ১২:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। নগরীতে তেমন একটা প্রাদুর্ভাব দেখা না গেলেও উপজেলায় গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার অধিকাংশই শিশু। চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের ডায়রিয়া কর্নারে বুধবার ভর্তি ছিলো ১০ শিশু।

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে খুব বেশী না হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের এই সময়ে বাড়ছে ডায়রিয়া বা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।

নগরীর চেয়ে উপজেলা পর্যায়ে তুলনামূলক বেশি ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী কার্যালয়ের তথ্যের বরাতে জানান, গত তিনদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ১শ জনের উপরে ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ বলছেন, গরমে খুব দ্রুত সময়ে খাবার নষ্ট হয়ে তার মাধ্যমে যেমন পেটের পীড়া দেখা দেয় তেমনি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় সামান্য অপরিচ্ছন্নতায় জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা।

পানিশূণ্যতা দূর করতে আক্রান্তদের বেশি বেশি স্যালাইনসহ পুষ্টিকর তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের আশ্বাস, রোগী বাড়লেও চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে হাসপাতালগুলোতে।