চকবাজারের আগুন: মিলেছে ৬ মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৫১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেন এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে আগুন লাগা ভবনের দোতলায় ছয়টি মরদেহ পাওয়া গেছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা দোতলায় ৬ জনের মরদেহ পেয়েছি। আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।”

এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কজন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তার ভাই বিল্লাল দোতলায় ঘুমাতেন। তিনি আগুনে আটকা পড়েছেন।

পরে গলির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঁকি গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বরিশাল হোটেলের ঠিক ওপরের রুমটিও পুড়ে গেছে। রুমের এক কোনায় কেউ বসে থাকা অবস্থায় পুড়ে গেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী মই দিয়ে উপরে উঠে দোতলার জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে চারটি মরদেহ দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পলিথিন কারখানায় আগুন লাগে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চকবাজারের আগুন: মিলেছে ৬ মরদেহ

Update Time : ০৫:৫১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেন এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে আগুন লাগা ভবনের দোতলায় ছয়টি মরদেহ পাওয়া গেছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা দোতলায় ৬ জনের মরদেহ পেয়েছি। আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।”

এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কজন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তার ভাই বিল্লাল দোতলায় ঘুমাতেন। তিনি আগুনে আটকা পড়েছেন।

পরে গলির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঁকি গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বরিশাল হোটেলের ঠিক ওপরের রুমটিও পুড়ে গেছে। রুমের এক কোনায় কেউ বসে থাকা অবস্থায় পুড়ে গেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী মই দিয়ে উপরে উঠে দোতলার জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে চারটি মরদেহ দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পলিথিন কারখানায় আগুন লাগে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।