কেরানীগঞ্জে গ্যাস ‘লিকেজ’ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ ৫

  • Update Time : ১২:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
  • / 160

তারেক মাহমুদ সুজন:

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাগৈইর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সারে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- রাজু আহমেদ (২৮) ও তার দুই মেয়ে জান্নাত (৫) এবং রোজা(৩)। রাজুর বোন শারমিন আক্তার (২৪) ও তাদের আত্মীয় হাবিবুর রহমান হাবিব (১৯)।

দগ্ধ রাজু জানায়, তাদের বাসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাগৈইর এলাকায়। তিনি নিজে রান্না ঘরে চুলার সঙ্গে গ্যাস লাইন সংযোগ দেন। পরে গ্যাস বের হয় কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরায়। এ সময় ফুলকি দিয়ে রান্নাঘরসহ সব ঘরেই আগুন ছড়িয়ে পরে। এতে তারা দগ্ধ হয়। রাজুর ধারনা, পাইপে লিকেজ থাকার কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

দগ্ধ হাবিবের বাবা জানায়, তাদের বাসা একই এলাকাতে। সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাজুদের বাসায় যায় হাবিব। তখনই ওই বাসার আগুন থেকে দগ্ধ হন তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, দগ্ধ চারজনের মধ্যে দুই শিশুর অবস্থা গুরুতর। শারমিনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজু ও হাবিবের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দগ্ধ হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

কেরানীগঞ্জে গ্যাস ‘লিকেজ’ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ ৫

Update Time : ১২:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

তারেক মাহমুদ সুজন:

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাগৈইর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সারে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- রাজু আহমেদ (২৮) ও তার দুই মেয়ে জান্নাত (৫) এবং রোজা(৩)। রাজুর বোন শারমিন আক্তার (২৪) ও তাদের আত্মীয় হাবিবুর রহমান হাবিব (১৯)।

দগ্ধ রাজু জানায়, তাদের বাসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাগৈইর এলাকায়। তিনি নিজে রান্না ঘরে চুলার সঙ্গে গ্যাস লাইন সংযোগ দেন। পরে গ্যাস বের হয় কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরায়। এ সময় ফুলকি দিয়ে রান্নাঘরসহ সব ঘরেই আগুন ছড়িয়ে পরে। এতে তারা দগ্ধ হয়। রাজুর ধারনা, পাইপে লিকেজ থাকার কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

দগ্ধ হাবিবের বাবা জানায়, তাদের বাসা একই এলাকাতে। সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাজুদের বাসায় যায় হাবিব। তখনই ওই বাসার আগুন থেকে দগ্ধ হন তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, দগ্ধ চারজনের মধ্যে দুই শিশুর অবস্থা গুরুতর। শারমিনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজু ও হাবিবের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দগ্ধ হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।