কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / 9

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই খামার থেকেই আলোচিত ছাগলকাণ্ডের সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু সরবরাহ করা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১ জুলাই) বেলা পৌনে ১টায় অভিযান শুরু করে সংস্থাটি। জানা গেছে, নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি ‘কাউবয়’ খ্যাত ইমরান হোসেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ৯ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা গরুগুলো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে নিলামে কিনে নেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।

গরুগুলো জবাই করে রমজানে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি করার শর্তে ইমরানকে দেয়া হয়েছিল। তবে ইমরান সুলভ মূল্যে বিক্রি না করেই গরুগুলো তার খামারে রেখে দেন। এছাড়াও নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করে কোটি টাকা দাম হাঁকিয়ে বাজারে তোলেন।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমা জাতীয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুদকের অভিযান

Update Time : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই খামার থেকেই আলোচিত ছাগলকাণ্ডের সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু সরবরাহ করা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১ জুলাই) বেলা পৌনে ১টায় অভিযান শুরু করে সংস্থাটি। জানা গেছে, নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে বিক্রি করতেন বাংলাদেশি ‘কাউবয়’ খ্যাত ইমরান হোসেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ৯ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা গরুগুলো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে নিলামে কিনে নেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।

গরুগুলো জবাই করে রমজানে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি করার শর্তে ইমরানকে দেয়া হয়েছিল। তবে ইমরান সুলভ মূল্যে বিক্রি না করেই গরুগুলো তার খামারে রেখে দেন। এছাড়াও নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করে কোটি টাকা দাম হাঁকিয়ে বাজারে তোলেন।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমা জাতীয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।