কুমিল্লায় শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

  • Update Time : ০৬:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 142

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগঃ

কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মিম আক্তার (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিম উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের শরীফুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীরা ধারণা করছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে শিশুটির লাশ।

শিশুটির বাবা শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে বাড়ির বাহিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে মিম। পরে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

এদিকে, সেপটিক ট্যাংকে মিমের বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান দেয় ওই এলাকার আবদুল কাইয়ুম (১৬) নামের এক তরুণ। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটককৃত কাইয়ুম ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করতো।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করেছেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যান তিনি। পরে বাবার অনুরোধে পরবর্তী দপ্তরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫-শ টাকা বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরি করতো কাইয়ুম।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লায় শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৬:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগঃ

কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মিম আক্তার (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিম উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের শরীফুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীরা ধারণা করছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে শিশুটির লাশ।

শিশুটির বাবা শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে বাড়ির বাহিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে মিম। পরে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

এদিকে, সেপটিক ট্যাংকে মিমের বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান দেয় ওই এলাকার আবদুল কাইয়ুম (১৬) নামের এক তরুণ। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটককৃত কাইয়ুম ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করতো।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করেছেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যান তিনি। পরে বাবার অনুরোধে পরবর্তী দপ্তরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫-শ টাকা বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরি করতো কাইয়ুম।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে