কুমিল্লায় ডাক্তারের অবহেলায় অন্তস্বত্তা গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:২৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৮০ Time View

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা:

কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার সদরে মধুমতি হাসপাতালে অপারেশন করার সময় ডাক্তারের অবহেলায় এক অন্তস্বত্তা গৃহবধূ ও তার পেটে থাকা সন্তানের মৃত্যু হয়।

১৮ নভেম্বর(শুক্রবার) সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী বুড়িচং উপজেলার পূর্নমতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান আমি ২০১৮ সালে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ গ্রামের জুলুছ মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তার (২২) কে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমার প্রথম সন্তান মধুমতি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারিতে জন্ম গ্রহন করে। পর্বতীতে আমার স্ত্রী লিজা আক্তার অন্তস্বত্তা হলে ১৮ নভেম্বর মাগরিবের নামাজের পূর্বে আমি আমার স্ত্রী লিজা আক্তারকে ব্রাহ্মনপাড়া মধুমতি হাসপাতালের ডাঃ রহিমা সুলতানা রত্না আমাকে জানান আপনার স্ত্রীকে আজকে সিজার করাতে পারেন কোনো প্রকার সমস্যা হবে না,আমি ডাক্তারের কথায় আসস্ত হয়ে সিজার করাতে রাজি হই।

একই দিন সন্ধ্যায় মধুমতি হাসপাতালে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারের নেওয়ার ৪০/৪৫মিনিট পর ও আমি আমার স্ত্রীর কোনো প্রকার খোজ খবর পাইনি তবে নার্স ও ডাক্তারগন দিকবেদিক ছুটাছুটি করছে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে আমার রোগীকে দ্রুত কুমিল্লা হাসপাতালে নিতে হবে।

আমি আমার স্ত্রী লিজা আক্তারকে এম্বোলেন্স যোগে কুমিল্লা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তরত জানান উক্ত রোগী প্রায় ৪০/ ৫০ মিনিট আগে মারা গেছে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে, পরর্বতীতে আমি স্বজনদের নিয়ে পূনরায় আমি আমার মৃত স্ত্রী লিজা আক্তারকে নিয়ে মধুমতি হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং দেখতে পাই আমার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য তার তলপেটে অস্ত্র পাচার করেছে। খবর পেয়ে প্রথমে ব্রাহ্মনপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম সঙ্গী ফোস নিয়ে উক্ত হাসপাতালে আসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনে আনে।খবর পেয়ে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন ডাক্তার এবং ব্রাহ্মনপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, আমরা তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় আপোষ মিমাংসা করেছে যাহার কারনে ময়না তদন্ত বিহীন লাশ দাফন করেছে স্বজনরা ১৯ নভেম্বর দুপুরে নিহতের স্বামীর বাড়ী বুড়িচং উপজেলার পূর্ণ মতি গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে। ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ এ ডাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ মবিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং জানান তদন্ত কমিটি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মধুমতি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ মোঃ নাজমুল হাসান শরীফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লায় ডাক্তারের অবহেলায় অন্তস্বত্তা গৃহবধূর মৃত্যু

Update Time : ০৫:২৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা:

কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার সদরে মধুমতি হাসপাতালে অপারেশন করার সময় ডাক্তারের অবহেলায় এক অন্তস্বত্তা গৃহবধূ ও তার পেটে থাকা সন্তানের মৃত্যু হয়।

১৮ নভেম্বর(শুক্রবার) সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী বুড়িচং উপজেলার পূর্নমতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান আমি ২০১৮ সালে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ গ্রামের জুলুছ মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তার (২২) কে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমার প্রথম সন্তান মধুমতি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারিতে জন্ম গ্রহন করে। পর্বতীতে আমার স্ত্রী লিজা আক্তার অন্তস্বত্তা হলে ১৮ নভেম্বর মাগরিবের নামাজের পূর্বে আমি আমার স্ত্রী লিজা আক্তারকে ব্রাহ্মনপাড়া মধুমতি হাসপাতালের ডাঃ রহিমা সুলতানা রত্না আমাকে জানান আপনার স্ত্রীকে আজকে সিজার করাতে পারেন কোনো প্রকার সমস্যা হবে না,আমি ডাক্তারের কথায় আসস্ত হয়ে সিজার করাতে রাজি হই।

একই দিন সন্ধ্যায় মধুমতি হাসপাতালে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারের নেওয়ার ৪০/৪৫মিনিট পর ও আমি আমার স্ত্রীর কোনো প্রকার খোজ খবর পাইনি তবে নার্স ও ডাক্তারগন দিকবেদিক ছুটাছুটি করছে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে আমার রোগীকে দ্রুত কুমিল্লা হাসপাতালে নিতে হবে।

আমি আমার স্ত্রী লিজা আক্তারকে এম্বোলেন্স যোগে কুমিল্লা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তরত জানান উক্ত রোগী প্রায় ৪০/ ৫০ মিনিট আগে মারা গেছে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে, পরর্বতীতে আমি স্বজনদের নিয়ে পূনরায় আমি আমার মৃত স্ত্রী লিজা আক্তারকে নিয়ে মধুমতি হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং দেখতে পাই আমার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য তার তলপেটে অস্ত্র পাচার করেছে। খবর পেয়ে প্রথমে ব্রাহ্মনপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম সঙ্গী ফোস নিয়ে উক্ত হাসপাতালে আসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনে আনে।খবর পেয়ে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন ডাক্তার এবং ব্রাহ্মনপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, আমরা তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় আপোষ মিমাংসা করেছে যাহার কারনে ময়না তদন্ত বিহীন লাশ দাফন করেছে স্বজনরা ১৯ নভেম্বর দুপুরে নিহতের স্বামীর বাড়ী বুড়িচং উপজেলার পূর্ণ মতি গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে। ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ এ ডাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ মবিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং জানান তদন্ত কমিটি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মধুমতি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ মোঃ নাজমুল হাসান শরীফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।