কুবিতে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • / 12

কুবি সংবাদদাতা 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ৩টায় টিচার্স লাউঞ্জে কুবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ এনে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। 

এরপর উপাচার্যের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানাতে গেলে উপাচার্য উদ্ভূত সমস্যা সমাধান না হওয়ার আগে নিয়োগ দিবেন না বলে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি পাঠ করে বলেন , গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় অংশগ্রহণকারী বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার আসামি সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে আবেদন করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত রিপোর্ট কবে দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে শিক্ষকরা জানেন না। তাদের আশঙ্কা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বেই উপাচার্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীরা এসব পদে নিয়োগ পাবে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা উপাচার্যের নিকট নতুন নিয়োগ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্বে একাডেমিক নীতিমালার ন্যূনতম শর্ত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রে) পূরণ না করা সত্ত্বেও এবং বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশে বাতিলকৃত একজন প্রার্থীর আবেদন উপাচার্যের একক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অনুমোদন করে উক্ত প্রার্থীকে মার্কেটিং বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এছাড়াও স্মারকলিপিতে বলা হয়, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৩টি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান এবং ২টি অনুষদে ডিন নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ জন অধ্যাপক এবং প্রায় ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য নিজেই আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বঞ্চিত করেছেন। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (২৪ জুন) ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও আগামী ২৭ তারিখে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি(আইসিটি) বিভাগের নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। 

তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত 

Update Time : ০৯:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

কুবি সংবাদদাতা 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ৩টায় টিচার্স লাউঞ্জে কুবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ এনে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। 

এরপর উপাচার্যের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানাতে গেলে উপাচার্য উদ্ভূত সমস্যা সমাধান না হওয়ার আগে নিয়োগ দিবেন না বলে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। 

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি পাঠ করে বলেন , গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় অংশগ্রহণকারী বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার আসামি সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে আবেদন করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত রিপোর্ট কবে দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে শিক্ষকরা জানেন না। তাদের আশঙ্কা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বেই উপাচার্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীরা এসব পদে নিয়োগ পাবে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা উপাচার্যের নিকট নতুন নিয়োগ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্বে একাডেমিক নীতিমালার ন্যূনতম শর্ত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রে) পূরণ না করা সত্ত্বেও এবং বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশে বাতিলকৃত একজন প্রার্থীর আবেদন উপাচার্যের একক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অনুমোদন করে উক্ত প্রার্থীকে মার্কেটিং বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এছাড়াও স্মারকলিপিতে বলা হয়, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৩টি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান এবং ২টি অনুষদে ডিন নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ জন অধ্যাপক এবং প্রায় ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য নিজেই আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বঞ্চিত করেছেন। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (২৪ জুন) ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও আগামী ২৭ তারিখে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি(আইসিটি) বিভাগের নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। 

তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।