কারিগরি শিক্ষায় নন টেকনিক্যাল জনবল নিয়োগে আইডিইবি’র আপত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • / ১৪৫ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কারিগরি শিক্ষকতা পদে সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ততে আপত্তি রয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটি।
.
এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে সরকারের গণমুখী উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
.
সোমবার কমিটির এক ভার্চুয়্যাল সভায় অংশ নিয়ে আইডিইবি সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটির নেতারা এসব কথা বলেন।
.
সভায় আইডিইবি নেতারা বলেন, সরকার যখন মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কারিগরি শিক্ষকতা পদে সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। এটি সরকারের গণমুখী প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র।
.
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি বিশেষায়িত কারিগরি পদ। এ পদে কর্মরত শিক্ষকগণ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভোকেশনালে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে পাঠদান করেন। সে প্রেক্ষিতে এ পদে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিতে যোগ্যতা এইচএসসি ভোকেশনাল অর্থাৎ দুই বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এসএসসি ভোকেশনাল বা ২ বছরের ট্রেডসহ এইচএসসি পাস উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ঐ পদের জন্য বিএসসি পদার্থ ও রসায়ন ডিগ্রীধারী উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও বিধি-বহির্ভূত।
.
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক কিভাবে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল বা অন্য যেকোন ট্রেডের ব্যবহারিক ক্লাস নেবেন তা বোধগম্য নয়।
.
সভায় আইডিইবি সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটির নেতারা বলেন, সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য দেশের সকল উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট পর্যাক্রমে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ করতে চাচ্ছে সরকার। ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের অপ্রচেষ্টা সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বানচাল করবে।
.
অবিলম্বে কারিগরি পদে অকারিগরি ব্যক্তি নিয়োগের ষড়যন্ত্র বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান আইডিইবি নেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

কারিগরি শিক্ষায় নন টেকনিক্যাল জনবল নিয়োগে আইডিইবি’র আপত্তি

Update Time : ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কারিগরি শিক্ষকতা পদে সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ততে আপত্তি রয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটি।
.
এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে সরকারের গণমুখী উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
.
সোমবার কমিটির এক ভার্চুয়্যাল সভায় অংশ নিয়ে আইডিইবি সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটির নেতারা এসব কথা বলেন।
.
সভায় আইডিইবি নেতারা বলেন, সরকার যখন মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কারিগরি শিক্ষকতা পদে সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। এটি সরকারের গণমুখী প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র।
.
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি বিশেষায়িত কারিগরি পদ। এ পদে কর্মরত শিক্ষকগণ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভোকেশনালে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে পাঠদান করেন। সে প্রেক্ষিতে এ পদে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিতে যোগ্যতা এইচএসসি ভোকেশনাল অর্থাৎ দুই বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এসএসসি ভোকেশনাল বা ২ বছরের ট্রেডসহ এইচএসসি পাস উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ঐ পদের জন্য বিএসসি পদার্থ ও রসায়ন ডিগ্রীধারী উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও বিধি-বহির্ভূত।
.
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষক কিভাবে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল বা অন্য যেকোন ট্রেডের ব্যবহারিক ক্লাস নেবেন তা বোধগম্য নয়।
.
সভায় আইডিইবি সোস্যাল মিডিয়া উপ-কমিটির নেতারা বলেন, সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য দেশের সকল উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট পর্যাক্রমে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ করতে চাচ্ছে সরকার। ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের অপ্রচেষ্টা সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বানচাল করবে।
.
অবিলম্বে কারিগরি পদে অকারিগরি ব্যক্তি নিয়োগের ষড়যন্ত্র বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান আইডিইবি নেতারা।