কানাডা-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ২৮৭ Time View

কানাডা-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে কানাডা-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটরিয়ামে ‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ, এ জার্নি অফ ফিফটি ইয়ার্স’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস। এবারই প্রথম জনসম্মুখে কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেরা তিনটি সফলতার পরিমাপক হল- কৃষিতে সাফল্য, ১০০% বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যে বারবার ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একের অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেদেরকে প্রতিযোগিতাময় চাকরি ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস বলেন, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত। যেভাবে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্য দূরীকরণ হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে, তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- নারী-পুরুষের বৈষম্য, মেরুকরণ এবং তরুণদের নিজেদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বহির্ভূত ভাবার প্রবণতা। অতীতে কানাডা সব সময়েই বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকবে কানাডা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই কানাডিয় হাইকমিশনের সহায়তায় শিক্ষা, গবেষণা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে। আমরা গর্বিত যে, কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োগ লাভের পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আশা করছি কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সূত্র ধরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কানাডা-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

Update Time : ১১:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে কানাডা-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটরিয়ামে ‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ, এ জার্নি অফ ফিফটি ইয়ার্স’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস। এবারই প্রথম জনসম্মুখে কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেরা তিনটি সফলতার পরিমাপক হল- কৃষিতে সাফল্য, ১০০% বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যে বারবার ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একের অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেদেরকে প্রতিযোগিতাময় চাকরি ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস বলেন, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত। যেভাবে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্য দূরীকরণ হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে, তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- নারী-পুরুষের বৈষম্য, মেরুকরণ এবং তরুণদের নিজেদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বহির্ভূত ভাবার প্রবণতা। অতীতে কানাডা সব সময়েই বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকবে কানাডা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই কানাডিয় হাইকমিশনের সহায়তায় শিক্ষা, গবেষণা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে। আমরা গর্বিত যে, কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োগ লাভের পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আশা করছি কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সূত্র ধরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।