কানাডায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবার!

  • Update Time : ০৩:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • / 185

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ছেড়েছেন নিহত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা। কানাডায় শরণার্থী মর্যাদায় বসবাস করবেন তারা।বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মহিবুল্লার পরিবারটি কানাডার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এ জন্য বিদেশে আশ্রয় চেয়ে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন তারা।

মুহিবুল্লাহর তৈরি করা সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, নয় ছেলেমেয়ে, এক জামাতাকে কানাডায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কানাডার সরকার তাঁদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। এ ঘটনার জন্য তার পরিবার শুরু থেকেই মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করে আসছে।

মহিবুল্লাহর পরিবারের দাবি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে সক্রিয়তা এবং শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা- এ দুই কারণে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কানাডায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবার!

Update Time : ০৩:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ছেড়েছেন নিহত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা। কানাডায় শরণার্থী মর্যাদায় বসবাস করবেন তারা।বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মহিবুল্লার পরিবারটি কানাডার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এ জন্য বিদেশে আশ্রয় চেয়ে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন তারা।

মুহিবুল্লাহর তৈরি করা সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, নয় ছেলেমেয়ে, এক জামাতাকে কানাডায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কানাডার সরকার তাঁদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। এ ঘটনার জন্য তার পরিবার শুরু থেকেই মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করে আসছে।

মহিবুল্লাহর পরিবারের দাবি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে সক্রিয়তা এবং শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা- এ দুই কারণে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে।