করোনার আঘাতে মুনাফা কমেছে বেশিরভাগ ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৪ Time View
নিজস্ব প্রতিনিধি:
.
করোনার কারণে গেল বছর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। যার প্রভাবে বছর শেষে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা কমেছে। তবে এর মধ্যেই পরিচালন মুনাফায় সবার উপরে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক।

ব্যাংকাররা বলছেন, করোনার কারণে ঋণকে খেলাপি ঘোষণা না করায় সেই বিনিয়োগ যোগ হয়েছে লাভের হিসেবে।

২০২০ সালের ২৭ই মার্চ থেকে করোনার কারণে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। দফায় দফায় বেড়ে ছুটি চলে ৩০শে মে পর্যন্ত। এরপর অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অনেকেই আর ফিরতে পারেননি ব্যবসায়।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “চাহিদা কমে যাওয়াতে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। হোটেল ব্যবসা নাই, ইকেনোমির ৮০ শতাংশ যদি বন্ধ থাকে তাহলে ঋণ বিতরণ করলেও তো কেউ নিতে আসবে না।”

ব্যাংকের মুনাফার প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, গেল বছর বেসরকারিখাতের বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৮শ’ কোটি টাকা। যা ২০১৯ সালে ছিল ২৫শ’ কোটি টাকা। আয় কমেছে ব্যাংক এশিয়া, আল আরাফা, প্রাইম ও সোস্যাল ইসলামি ব্যাংকের।

সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোখলেসুর রহমান বলেন,”সবাই ব্যয় এর বিষয়ে অনেকটা সচেতন হয়ে গেছে। এই সিচুয়েশনটা আগামী মার্চ পর্যন্ত চলতে পারে।”

গেল বছরে মুনাফার শীর্ষে উঠে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক। প্রাথমিক হিসাবে সোনালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২১৭৫ কোটি টাকা। যা এর আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। এ তালিকায় আছে চর্তুথ প্রজন্মের কয়েকটি ব্যাংকও।

মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সফিউল আজম বলেন, “ব্যাংকের অবস্থা যতটুকু খারাপ আশঙ্কা করা হয়েছিল ততোটুকু খারাপ হয়নি।”

করোনায় ব্যাংকিংখাত রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন ব্যাংকাররা। তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো সমর্থনের কারণেই খুব বেশি ধাক্কা আসেনি এ খাতে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

করোনার আঘাতে মুনাফা কমেছে বেশিরভাগ ব্যাংকের

Update Time : ১১:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
.
করোনার কারণে গেল বছর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। যার প্রভাবে বছর শেষে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা কমেছে। তবে এর মধ্যেই পরিচালন মুনাফায় সবার উপরে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক।

ব্যাংকাররা বলছেন, করোনার কারণে ঋণকে খেলাপি ঘোষণা না করায় সেই বিনিয়োগ যোগ হয়েছে লাভের হিসেবে।

২০২০ সালের ২৭ই মার্চ থেকে করোনার কারণে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। দফায় দফায় বেড়ে ছুটি চলে ৩০শে মে পর্যন্ত। এরপর অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অনেকেই আর ফিরতে পারেননি ব্যবসায়।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “চাহিদা কমে যাওয়াতে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। হোটেল ব্যবসা নাই, ইকেনোমির ৮০ শতাংশ যদি বন্ধ থাকে তাহলে ঋণ বিতরণ করলেও তো কেউ নিতে আসবে না।”

ব্যাংকের মুনাফার প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, গেল বছর বেসরকারিখাতের বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৮শ’ কোটি টাকা। যা ২০১৯ সালে ছিল ২৫শ’ কোটি টাকা। আয় কমেছে ব্যাংক এশিয়া, আল আরাফা, প্রাইম ও সোস্যাল ইসলামি ব্যাংকের।

সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোখলেসুর রহমান বলেন,”সবাই ব্যয় এর বিষয়ে অনেকটা সচেতন হয়ে গেছে। এই সিচুয়েশনটা আগামী মার্চ পর্যন্ত চলতে পারে।”

গেল বছরে মুনাফার শীর্ষে উঠে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক। প্রাথমিক হিসাবে সোনালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২১৭৫ কোটি টাকা। যা এর আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। এ তালিকায় আছে চর্তুথ প্রজন্মের কয়েকটি ব্যাংকও।

মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সফিউল আজম বলেন, “ব্যাংকের অবস্থা যতটুকু খারাপ আশঙ্কা করা হয়েছিল ততোটুকু খারাপ হয়নি।”

করোনায় ব্যাংকিংখাত রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন ব্যাংকাররা। তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো সমর্থনের কারণেই খুব বেশি ধাক্কা আসেনি এ খাতে।