কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • / 183

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজারঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়। তাই বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও বদলে যাওয়া কক্সবাজার অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বিকভাবে ভৌগোলিক অবস্থানটাকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই আমাদের দেশটাকে। তাতে আর্থিকভাবেও আমাদের দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ বিশ্ব যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হলেও আগামীতে বাংলাদেশ সেই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অনেক চিন্তা ও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে এবং কক্সবাজার নিয়ে তো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ সি বিচ, পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবেই পুরো কক্সবাজারটাকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করবো।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান উন্নয়ন মাধ্যমে আমি মনে করি যে ওয়াদা জনগণের কাছে দিয়েছিলাম সেখানে আরও একটা ধাপ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এই যে জলভাগের ওপর আমরা একটা রানওয়ে নির্মাণ করছি সেটাও দৃষ্টিনন্দন হবে এবং অনেকে এটা দেখতে যাবে। তিনি জলভাগের ওপর এই রানওয়ে নির্মাণের সাহস নিয়ে কাজ শুরু করতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানান সরকার প্রধান।

বিমানের সেবা বাড়াতে এবং এর আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্টদের সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন যেন আমরা পূরণ করতে পারি। আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, সেখানে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। এটা ধরে রেখে আমাদের উন্নত দেশের পথে এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা সেটা করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাভিয়েশন অগ্রগতি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০২:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজারঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়। তাই বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও বদলে যাওয়া কক্সবাজার অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বিকভাবে ভৌগোলিক অবস্থানটাকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই আমাদের দেশটাকে। তাতে আর্থিকভাবেও আমাদের দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ বিশ্ব যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হলেও আগামীতে বাংলাদেশ সেই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অনেক চিন্তা ও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে এবং কক্সবাজার নিয়ে তো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ সি বিচ, পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবেই পুরো কক্সবাজারটাকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করবো।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান উন্নয়ন মাধ্যমে আমি মনে করি যে ওয়াদা জনগণের কাছে দিয়েছিলাম সেখানে আরও একটা ধাপ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এই যে জলভাগের ওপর আমরা একটা রানওয়ে নির্মাণ করছি সেটাও দৃষ্টিনন্দন হবে এবং অনেকে এটা দেখতে যাবে। তিনি জলভাগের ওপর এই রানওয়ে নির্মাণের সাহস নিয়ে কাজ শুরু করতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানান সরকার প্রধান।

বিমানের সেবা বাড়াতে এবং এর আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্টদের সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন যেন আমরা পূরণ করতে পারি। আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, সেখানে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। এটা ধরে রেখে আমাদের উন্নত দেশের পথে এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা সেটা করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাভিয়েশন অগ্রগতি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।