কক্সবাজার চকরিয়া ইউএনও কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ!

  • Update Time : ১০:৩৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 176

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রথম প্রহর পত্রিকার কক্সবাজারের বিশেষ প্রতিনিধি ও কক্সবাজার স্থানীয় পত্রিকার দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি ছালেম বিন নুরকে ফোন করে সন্ধা ৭টার দিকে ডেকে চকরিয়া ইউএনও অফিসে অমানবিক শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক ছালেম চকরিয়া সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মরহুম মোঃ নুর এর পুত্র।

ইউএনও সৈয়দ শামসূল তাবরীজ সরাসরি তার অধীনস্থ অফিস সহকারী, আনসার ও বহিরাগত লোকজন অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দিয়ে সাংবাদিক ছালেম বিন নুরকে শারিরীক নির্যাতন করে। ইউএনও নিজে ও শান্তি পদ দে, সৌরভ, দফাদার আব্দুল গনি, আবুল হোসেন সহ নাম না জানা ২০-২৫ উক্ত হামলায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান নির্যাতিত ছালেম।

জানাযায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী শান্তি পদ- দের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিক ছালেম বিন নূরকে অফিসে আটকে রেখে ইউএনও কর্তৃক শারীরিক অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার দিন ২৮ই ডিসেম্বর বিকেলে সাংবাদিক ছালেম বিন নুরকে ফেইসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ইউএনও অফিসে নিয়ে বিবস্ত্র করে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের পর জোরর্পুবক অঙ্গিকার নামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি তার স্ত্রী ও মায়ের সামনে নির্যাতন করা হয় বলে জানান নির্যাতিত ছালেম। ঘটনার দিন সকালে সাংবাদিক ছালেম ইউএনও সহকারী শান্তি পদ দে এর দূর্নীতির বিরুদ্ধে একটি স্টাটাস পোস্ট করেন। উক্ত স্টাটাস কে কেন্দ্র করে তাকে ইউএনও অফিসে ডেকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন ছালেম।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরনে ক্ষুব্দ সাংবাদিক সমাজ সহ সাধারন জনগন।

ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত চকরিয়া অফিস সহকারী শান্তি পদ দে মুঠোফোনে জানান, আমরা তাকে শারীরিক প্রহার করিনি এটি বানোয়াট। তার সাথে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল। গতকাল হঠাত সে অফিসে আসছে শুনছি কিন্তু আমার সাথে দেখা করেনি।

চকরিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন। এবং জানান তাকে আমি ডেকে তার মোবাইলে ধারণকৃত আমার এক দফাদারের কিছু ছবি ভিডিও ছিল তা ডিলিট করতে বাধ্য করি। তখন সামনে আরো কিছু সাংবাদিক উপস্থিত ছিল আপনারা যাচাই করতে পারেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার চকরিয়া ইউএনও কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ!

Update Time : ১০:৩৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রথম প্রহর পত্রিকার কক্সবাজারের বিশেষ প্রতিনিধি ও কক্সবাজার স্থানীয় পত্রিকার দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি ছালেম বিন নুরকে ফোন করে সন্ধা ৭টার দিকে ডেকে চকরিয়া ইউএনও অফিসে অমানবিক শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক ছালেম চকরিয়া সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মরহুম মোঃ নুর এর পুত্র।

ইউএনও সৈয়দ শামসূল তাবরীজ সরাসরি তার অধীনস্থ অফিস সহকারী, আনসার ও বহিরাগত লোকজন অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দিয়ে সাংবাদিক ছালেম বিন নুরকে শারিরীক নির্যাতন করে। ইউএনও নিজে ও শান্তি পদ দে, সৌরভ, দফাদার আব্দুল গনি, আবুল হোসেন সহ নাম না জানা ২০-২৫ উক্ত হামলায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান নির্যাতিত ছালেম।

জানাযায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী শান্তি পদ- দের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিক ছালেম বিন নূরকে অফিসে আটকে রেখে ইউএনও কর্তৃক শারীরিক অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার দিন ২৮ই ডিসেম্বর বিকেলে সাংবাদিক ছালেম বিন নুরকে ফেইসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ইউএনও অফিসে নিয়ে বিবস্ত্র করে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের পর জোরর্পুবক অঙ্গিকার নামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি তার স্ত্রী ও মায়ের সামনে নির্যাতন করা হয় বলে জানান নির্যাতিত ছালেম। ঘটনার দিন সকালে সাংবাদিক ছালেম ইউএনও সহকারী শান্তি পদ দে এর দূর্নীতির বিরুদ্ধে একটি স্টাটাস পোস্ট করেন। উক্ত স্টাটাস কে কেন্দ্র করে তাকে ইউএনও অফিসে ডেকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন ছালেম।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরনে ক্ষুব্দ সাংবাদিক সমাজ সহ সাধারন জনগন।

ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত চকরিয়া অফিস সহকারী শান্তি পদ দে মুঠোফোনে জানান, আমরা তাকে শারীরিক প্রহার করিনি এটি বানোয়াট। তার সাথে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল। গতকাল হঠাত সে অফিসে আসছে শুনছি কিন্তু আমার সাথে দেখা করেনি।

চকরিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন। এবং জানান তাকে আমি ডেকে তার মোবাইলে ধারণকৃত আমার এক দফাদারের কিছু ছবি ভিডিও ছিল তা ডিলিট করতে বাধ্য করি। তখন সামনে আরো কিছু সাংবাদিক উপস্থিত ছিল আপনারা যাচাই করতে পারেন।