ওমিক্রন : দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • / ১৩১ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সপ্তাহে শনাক্ত হওয়ার পর এখন তা ইউরোপে পৌঁছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ইউরোপের দেশে দেশে ছড়াচ্ছে।

রোববার নেদারল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ১৩ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। জার্মানিতে মোট তিনজনের দেহে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে। এরা সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, এর আগে শনিবার জার্মানিতে একজনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন। এছাড়া বাভারিয়াতে দু’জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা অন্তত আটজনের শরীরে করোনার ওমিক্রন ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এ ধরনটিকে ঠেকাতে ইতোমধ্যে ইউরোপে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বাতিল করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে এখন দোকানে যেতে হলে, যানবাহনে চড়তে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া মঙ্গলবার থেকে যারা যুক্তরাজ্যে যাবেন, তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট যতদিন না আসছে, ততদিন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কুয়ারিন্টিনে (নিভৃতবাস) থাকতে হবে।

জার্মানির সরকার নিজ নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছে, সবাই যেন সতর্ক থাকেন। না হলে আবার লকডাউনের মুখে পড়তে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার উপর ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে। তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা অন্যায্য। এটা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাই তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থাও জানিয়েছে, এই ভাইরাস এখন অনেক দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ঠিক নয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ওমিক্রন : দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে

Update Time : ১২:১৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সপ্তাহে শনাক্ত হওয়ার পর এখন তা ইউরোপে পৌঁছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ইউরোপের দেশে দেশে ছড়াচ্ছে।

রোববার নেদারল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ১৩ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। জার্মানিতে মোট তিনজনের দেহে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে। এরা সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, এর আগে শনিবার জার্মানিতে একজনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন। এছাড়া বাভারিয়াতে দু’জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা অন্তত আটজনের শরীরে করোনার ওমিক্রন ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এ ধরনটিকে ঠেকাতে ইতোমধ্যে ইউরোপে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বাতিল করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে এখন দোকানে যেতে হলে, যানবাহনে চড়তে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া মঙ্গলবার থেকে যারা যুক্তরাজ্যে যাবেন, তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট যতদিন না আসছে, ততদিন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কুয়ারিন্টিনে (নিভৃতবাস) থাকতে হবে।

জার্মানির সরকার নিজ নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছে, সবাই যেন সতর্ক থাকেন। না হলে আবার লকডাউনের মুখে পড়তে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার উপর ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে। তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা অন্যায্য। এটা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাই তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থাও জানিয়েছে, এই ভাইরাস এখন অনেক দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ঠিক নয়।