এলএসডি কারবারে জড়িত ১৫ গ্রুপ: ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

  • Update Time : ১১:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • / 369

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড বা এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে ১৫টি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা সবাই শিক্ষার্থী।

তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)।

রোববার (৩০ মে) রাতে পল্টন থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।

May be an image of 2 people, people standing and indoor

ডিসি আহাদ বলেন, গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত এক বছর ধরে এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত তারা। অনলাইনে ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা আসক্ত হয়ে এলএসডি সেবন শুরু করে। মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি মাদক সংগ্রহ করে তারা। রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরেই এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত।

১৫টি গ্রুপকে শনাক্ত করা গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা সরাসরি ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক নিয়ে আসতো। তবে তাদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে কাজ চলছে।

তারা কোন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, মূলত ইউরোপ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো। ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানী ওষুধ হিসেবে এলএসডি আবিষ্কার করে। পরে এটি অপব্যবহার হয়ে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশে এলএসডি কীভাবে আসে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুরিয়ার ও লাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ১৪ থেকে ১৫টি গ্রুপ দেশে এলএসডি আনার সঙ্গে জিড়িত। আমরা এই গ্রুপের সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি।

দেশে এই গ্রুপগুলো কত দিন ধরে সক্রিয় আছে, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা গত এক বছর ধরে এলএসডি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন করছে বলে জানা গেছে। গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করলে বুঝতে পারব তারা দেশে কতদিন ধরে সক্রিয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এলএসডি কারবারে জড়িত ১৫ গ্রুপ: ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

Update Time : ১১:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড বা এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে ১৫টি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা সবাই শিক্ষার্থী।

তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)।

রোববার (৩০ মে) রাতে পল্টন থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।

May be an image of 2 people, people standing and indoor

ডিসি আহাদ বলেন, গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত এক বছর ধরে এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত তারা। অনলাইনে ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা আসক্ত হয়ে এলএসডি সেবন শুরু করে। মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি মাদক সংগ্রহ করে তারা। রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরেই এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত।

১৫টি গ্রুপকে শনাক্ত করা গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা সরাসরি ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক নিয়ে আসতো। তবে তাদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে কাজ চলছে।

তারা কোন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, মূলত ইউরোপ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো। ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানী ওষুধ হিসেবে এলএসডি আবিষ্কার করে। পরে এটি অপব্যবহার হয়ে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশে এলএসডি কীভাবে আসে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুরিয়ার ও লাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ১৪ থেকে ১৫টি গ্রুপ দেশে এলএসডি আনার সঙ্গে জিড়িত। আমরা এই গ্রুপের সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি।

দেশে এই গ্রুপগুলো কত দিন ধরে সক্রিয় আছে, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা গত এক বছর ধরে এলএসডি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন করছে বলে জানা গেছে। গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করলে বুঝতে পারব তারা দেশে কতদিন ধরে সক্রিয়।