একুশে পদকজয়ী দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২০৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এসময়ে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

সাংবাদিক তোয়াব খান ছাত্রাবস্থায় দেখেছেন দেশবিভাগ, স্বাধীন বাংলাদেশের উদ্ভবে ধরেছেন কলম এবং তৎপরবর্তীতে তাঁর সাহসী অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়। নতুন করে শুরু হওয়া দৈনিক বাংলার দায়িত্বও নিয়েছিলেন এই গুনীজন।

সাতক্ষিরায় জন্ম নেয়া এই প্রথিতযশা ব্যক্তি কিংবদন্তি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে যিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। আজ প্রয়াত হলেন এই মহীরুহু।

২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

একুশে পদকজয়ী দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান আর নেই

Update Time : ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এসময়ে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

সাংবাদিক তোয়াব খান ছাত্রাবস্থায় দেখেছেন দেশবিভাগ, স্বাধীন বাংলাদেশের উদ্ভবে ধরেছেন কলম এবং তৎপরবর্তীতে তাঁর সাহসী অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়। নতুন করে শুরু হওয়া দৈনিক বাংলার দায়িত্বও নিয়েছিলেন এই গুনীজন।

সাতক্ষিরায় জন্ম নেয়া এই প্রথিতযশা ব্যক্তি কিংবদন্তি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে যিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। আজ প্রয়াত হলেন এই মহীরুহু।

২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।