উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ফার্মেসি লিজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ১১৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের ফার্মেসি লিজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট ২০২২ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটির ফার্মেসি পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওষুধ বিক্রেতাদের নিকট দরপত্র আহ্বান করে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান লিজ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরমধ্যে থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে আব্দুল্লাহ ফার্মেসি আবেদন করে। কিন্তু অভিজ্ঞতা ১০ বছর না হওয়ায় তাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায়। ‘মিসার্স নবরুপা ফার্মেসি’ ১১ ও ৯ লাখ টাকায় ওই দুটি দোকান ঘর (ফার্মেসির) নিতে সম্মত হয়। কিন্তু দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনো প্রকার পে-অর্ডার, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা ডিডি জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ্য আছে। কাজেই চেকের প্রসঙ্গ আসতেই পারে না এবং এই দরপর শর্ত পূরণ করতে পারেনি বিধায় নন রিসপনসিভ উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নবরুপা ফার্মেসির ভ্যাটপ্রদানের কোনো কাগজপত্রও নেই। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি যে চেক জমা দিয়েছে তাতে তারিখ উল্লেখ্য করা হয়নি মর্মে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ কামাল স্বাক্ষরিত নথিতে জানা গেছে।

লিজের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বর হাসপাতালের অনারারি সেক্রেটারি ও বিএমএসআরআই এর অতিরিক্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার না থাকায়, নবরুপা ফার্মেসিকে আবেদন বাতিল করেন। তবে দৃষ্টি কমিউনিকেশনের শিডিউল অনুযায়ী সব কাগজপত্র এবং ‘ছ’ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দেওয়া থাকলেও হঠাৎ করে নবরুপা ফার্মেসিকে কাজ দেওয়ার জন্য আদেশ দেন রফিকুল ইসলাম।

দৃষ্টি কমিউনিকেশনের মালিক এনিয়ে আপত্তি জানালে প্রকিউরমেন্ট ইন্জিনিয়ার মো. কামাল বিষয়টি ইসি কমিটিকে জানান। তারপরও সেক্রেটারি বিষয়টিকে নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রেখে অফিস অর্ডার না দিয়ে মৌখিকভাবে নবরুপা ফার্মেসিকে ডেকোরেশনের কাজ করার অনুমতি দেয়।

প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় অতিরিক্ত পরিচালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। কিভাবে নবরুপা অনুমোদন পেল জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসি কমিটি দু’জন সদস্যের আপত্তি থাকলেও অধিকাংশ সদস্য কোনো আপত্তি জানাননি। উত্তরা ও ধানমন্ডির ফার্মেসি পরিচালনার জন্য নবরুপাকে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তিনি এ সংক্রান্ত ইসিকমিটির কোনো অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি।

প্রকৃত ঘটনা জানতে ইসিকমিটির একাধিক সদস্যকে মুঠোফোনে কল করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। এমনকি হাসপাতালে গিয়েও প্রতিবেদক তাদের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি কমিউনিকেশনের মো. নজরুল ইসলাম বিডি সমাচার টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমি সব নিয়ম মেনে দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছি। এছাড়া প্রয়োজনী পে-অর্ডারও জমা দিয়েছি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমার দরপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি। যারা ভ্যাট দেয় না, দরপত্রের শর্ত পুরণ ছাড়াই তারা কি করে অনুমোদন পায়। প্রায় ৬ মাসে ধরে ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়ে রেখেছি। এতে আর্থিকভাবে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন পে-অর্ডার তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়িকভাবে আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। ঠিক কি কারণে আমার আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হলো না, সে তথ্য আজও জানতেই পারিনি। এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

এবিষয়ে প্রকিউরমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ইন্জিনিয়ার মো. কামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিভাবে নবরুপা অনুমোদন পেল আমি জানিনা। সকল বিষয়ে লিখিতভাবে আমি সেক্রেটারি স্যারকে অবহিত করেছি, যেই প্রোফাইল বাতিল করা হয়েছে। সেটা কিভাবে আবার অনুমোদন পেলো এইরকম ঘটনা আমি বুঝতে পারছি না।

রাজনৈতিক প্রভাবের কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার কামাল বলেন, এই প্রাফাইলটি স্যার নিজেই লিখে সাক্ষর করে বাতিল করেছেন, এখন কিভাবে এ রকম হচ্ছে আমি জানি না। রাজনৈতিক চাপে কিনা তা বলতে পারছি না। তবে ৩২ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। স্যারদের আমি ভালো করে জানি ও চিনি। তারা কোনো চাপের কাছে নত হবেন এমন মানুষ তারা নয়।

দৃষ্টি কমিউনিকেশনের আবেদন কেন বাতিল হলো এমন প্রশ্নে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ও অনারারি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, সামান্য বিষয়টি নিয়ে কেন এত আলোচনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কিছু ভুল ছিল। এটা ‘ক্লারিফিকেশন মিসটেক’, ইসিকমিটি চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। যেহেতু তারা আমাদের দুটি ফার্মেসি একসঙ্গে নিচ্ছেন সে কারণে ইসিকমিটি প্লাস পয়েন্ট ধরে তাদের দিকটা বিবেচনায় নিয়েছেন।

যেহেতু একটা ভুল হয়েছে, সেটা সংশোধন করে আপনারা পুনরায় দরপত্র আহ্বান করেছেন কি না এ প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘না, আমরা এসেটা করিনি। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৩/৪ মাস ভাড়া বঞ্চিত হয়েছি।’

ভ্যাট দেয় না এমন লোক কিভাবে অনুমোদন পায় জানতে চাইলে হাসপাতালে অতিরিক্ত এ পরিচালক আরও বলেন, নবরুপার মালিক তার ভ্যাটের কাগজ তৈরি করছেন। তা ছাড়া তিনি বলেছেন, ওষুধ হোলসেলারদের কোনো ভ্যাট দিতে হয়না! এছাড়া যে চেক দিয়েছেন সে ব্যাপারে আমি দুটি ব্যাংকের ম্যানেজার কে কল দিয়েছি। তারা জানিয়েছেন, হি ইজ দ্যা সলবেন্ট। এছাড়া আমরা তার ঠিকানায় গিয়েও খোঁজখবর নিয়ে এসেছি।

ইসিকমিটির অনুমোদন ছাড়া এককভাবে অনারাসি সেক্রেটারি হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত কাজের অনুমতি দিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নে হাসপাতালের কো-চেয়ারম্যান সিদ্দিক উল্যাহ জানান, ‘ব্যক্তির কথায় কিছু হবে না। কাগজেপত্রে যদি হয়, তাহলে সেটাই চূড়ান্ত।’

স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘হাসপাতালের একজন অতিরিক্ত পরিচালক নিজের ইচ্ছে মত হাসপাতাল চালাচ্ছেন। তিনি ইসিকমিটিকেও তোয়াক্কা করেন না। একক ক্ষমতাবলে তিনি হাসপাতালে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। যেমনিভাবে তিনি নবরুপাকে অনুমোদন দিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ফার্মেসি লিজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

Update Time : ১০:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের ফার্মেসি লিজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট ২০২২ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটির ফার্মেসি পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওষুধ বিক্রেতাদের নিকট দরপত্র আহ্বান করে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান লিজ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরমধ্যে থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে আব্দুল্লাহ ফার্মেসি আবেদন করে। কিন্তু অভিজ্ঞতা ১০ বছর না হওয়ায় তাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায়। ‘মিসার্স নবরুপা ফার্মেসি’ ১১ ও ৯ লাখ টাকায় ওই দুটি দোকান ঘর (ফার্মেসির) নিতে সম্মত হয়। কিন্তু দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনো প্রকার পে-অর্ডার, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা ডিডি জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ্য আছে। কাজেই চেকের প্রসঙ্গ আসতেই পারে না এবং এই দরপর শর্ত পূরণ করতে পারেনি বিধায় নন রিসপনসিভ উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নবরুপা ফার্মেসির ভ্যাটপ্রদানের কোনো কাগজপত্রও নেই। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি যে চেক জমা দিয়েছে তাতে তারিখ উল্লেখ্য করা হয়নি মর্মে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ কামাল স্বাক্ষরিত নথিতে জানা গেছে।

লিজের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বর হাসপাতালের অনারারি সেক্রেটারি ও বিএমএসআরআই এর অতিরিক্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার না থাকায়, নবরুপা ফার্মেসিকে আবেদন বাতিল করেন। তবে দৃষ্টি কমিউনিকেশনের শিডিউল অনুযায়ী সব কাগজপত্র এবং ‘ছ’ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দেওয়া থাকলেও হঠাৎ করে নবরুপা ফার্মেসিকে কাজ দেওয়ার জন্য আদেশ দেন রফিকুল ইসলাম।

দৃষ্টি কমিউনিকেশনের মালিক এনিয়ে আপত্তি জানালে প্রকিউরমেন্ট ইন্জিনিয়ার মো. কামাল বিষয়টি ইসি কমিটিকে জানান। তারপরও সেক্রেটারি বিষয়টিকে নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রেখে অফিস অর্ডার না দিয়ে মৌখিকভাবে নবরুপা ফার্মেসিকে ডেকোরেশনের কাজ করার অনুমতি দেয়।

প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় অতিরিক্ত পরিচালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। কিভাবে নবরুপা অনুমোদন পেল জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসি কমিটি দু’জন সদস্যের আপত্তি থাকলেও অধিকাংশ সদস্য কোনো আপত্তি জানাননি। উত্তরা ও ধানমন্ডির ফার্মেসি পরিচালনার জন্য নবরুপাকে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তিনি এ সংক্রান্ত ইসিকমিটির কোনো অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি।

প্রকৃত ঘটনা জানতে ইসিকমিটির একাধিক সদস্যকে মুঠোফোনে কল করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। এমনকি হাসপাতালে গিয়েও প্রতিবেদক তাদের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি কমিউনিকেশনের মো. নজরুল ইসলাম বিডি সমাচার টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমি সব নিয়ম মেনে দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছি। এছাড়া প্রয়োজনী পে-অর্ডারও জমা দিয়েছি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমার দরপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি। যারা ভ্যাট দেয় না, দরপত্রের শর্ত পুরণ ছাড়াই তারা কি করে অনুমোদন পায়। প্রায় ৬ মাসে ধরে ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়ে রেখেছি। এতে আর্থিকভাবে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন পে-অর্ডার তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়িকভাবে আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। ঠিক কি কারণে আমার আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হলো না, সে তথ্য আজও জানতেই পারিনি। এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

এবিষয়ে প্রকিউরমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ইন্জিনিয়ার মো. কামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিভাবে নবরুপা অনুমোদন পেল আমি জানিনা। সকল বিষয়ে লিখিতভাবে আমি সেক্রেটারি স্যারকে অবহিত করেছি, যেই প্রোফাইল বাতিল করা হয়েছে। সেটা কিভাবে আবার অনুমোদন পেলো এইরকম ঘটনা আমি বুঝতে পারছি না।

রাজনৈতিক প্রভাবের কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার কামাল বলেন, এই প্রাফাইলটি স্যার নিজেই লিখে সাক্ষর করে বাতিল করেছেন, এখন কিভাবে এ রকম হচ্ছে আমি জানি না। রাজনৈতিক চাপে কিনা তা বলতে পারছি না। তবে ৩২ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। স্যারদের আমি ভালো করে জানি ও চিনি। তারা কোনো চাপের কাছে নত হবেন এমন মানুষ তারা নয়।

দৃষ্টি কমিউনিকেশনের আবেদন কেন বাতিল হলো এমন প্রশ্নে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ও অনারারি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, সামান্য বিষয়টি নিয়ে কেন এত আলোচনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কিছু ভুল ছিল। এটা ‘ক্লারিফিকেশন মিসটেক’, ইসিকমিটি চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। যেহেতু তারা আমাদের দুটি ফার্মেসি একসঙ্গে নিচ্ছেন সে কারণে ইসিকমিটি প্লাস পয়েন্ট ধরে তাদের দিকটা বিবেচনায় নিয়েছেন।

যেহেতু একটা ভুল হয়েছে, সেটা সংশোধন করে আপনারা পুনরায় দরপত্র আহ্বান করেছেন কি না এ প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘না, আমরা এসেটা করিনি। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৩/৪ মাস ভাড়া বঞ্চিত হয়েছি।’

ভ্যাট দেয় না এমন লোক কিভাবে অনুমোদন পায় জানতে চাইলে হাসপাতালে অতিরিক্ত এ পরিচালক আরও বলেন, নবরুপার মালিক তার ভ্যাটের কাগজ তৈরি করছেন। তা ছাড়া তিনি বলেছেন, ওষুধ হোলসেলারদের কোনো ভ্যাট দিতে হয়না! এছাড়া যে চেক দিয়েছেন সে ব্যাপারে আমি দুটি ব্যাংকের ম্যানেজার কে কল দিয়েছি। তারা জানিয়েছেন, হি ইজ দ্যা সলবেন্ট। এছাড়া আমরা তার ঠিকানায় গিয়েও খোঁজখবর নিয়ে এসেছি।

ইসিকমিটির অনুমোদন ছাড়া এককভাবে অনারাসি সেক্রেটারি হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত কাজের অনুমতি দিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নে হাসপাতালের কো-চেয়ারম্যান সিদ্দিক উল্যাহ জানান, ‘ব্যক্তির কথায় কিছু হবে না। কাগজেপত্রে যদি হয়, তাহলে সেটাই চূড়ান্ত।’

স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘হাসপাতালের একজন অতিরিক্ত পরিচালক নিজের ইচ্ছে মত হাসপাতাল চালাচ্ছেন। তিনি ইসিকমিটিকেও তোয়াক্কা করেন না। একক ক্ষমতাবলে তিনি হাসপাতালে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। যেমনিভাবে তিনি নবরুপাকে অনুমোদন দিয়েছেন।