উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ২১৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্বিপাক্ষিক সুবিধা বাড়াতে পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশে তার দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে। উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে পুঁজি করে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফর দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে।

বিশ্ব সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে উল্লেখ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধ সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এতে জনভোগান্তি হচ্ছে।

এসময় উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী খোদজায়েভ বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই। উজবেকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভাল কেন্দ্র। কারণ, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

এসময় তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষিখাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে খোদজায়েভ আরও বলেন, উজবেকিস্তান ঢাকায় দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।

ঢাকায় উজবেক দূতাবাস স্থাপন বিষয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় শেখ হাসিনাকে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভের শুভেচ্ছা জানান খোদজায়েভ। শেখ হাসিনাও উজবেক প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে তার সুবিধামত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বৈত কর পরিহারের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়।

এসময় উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন চায় বাংলাদেশ

Update Time : ০১:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্বিপাক্ষিক সুবিধা বাড়াতে পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশে তার দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে। উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে পুঁজি করে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফর দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে।

বিশ্ব সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে উল্লেখ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধ সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এতে জনভোগান্তি হচ্ছে।

এসময় উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী খোদজায়েভ বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই। উজবেকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভাল কেন্দ্র। কারণ, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

এসময় তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষিখাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে খোদজায়েভ আরও বলেন, উজবেকিস্তান ঢাকায় দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।

ঢাকায় উজবেক দূতাবাস স্থাপন বিষয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় শেখ হাসিনাকে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভের শুভেচ্ছা জানান খোদজায়েভ। শেখ হাসিনাও উজবেক প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে তার সুবিধামত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বৈত কর পরিহারের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়।

এসময় উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।