“উইমেন লিডার্সে’র আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৪৭ Time View
মো: শুভ ইসলাম :
নারী নেতৃত্বের বিকাশ ও নারীর জীবনের নানাবিধ প্রতিকূলতা- নারী সহিংসতা, বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা, লিঙ্গ বৈষম্যসহ সমাজে চলমান প্রভৃতি অসমতা বিষয়াবলীর নিরসনে “উইমেন লিডার্স “প্রজেক্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কোভিডের এই দুঃসময়ে নারী কিভাবে নেতৃত্ব দিবে, সেই লক্ষ্যে উইমেন লিডার্স কর্তৃক- গত ৭ ও ৮ এপ্রিল ২০২১ দুইদিন ব্যাপী পিস অ্যাম্বাসিডর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
.
কর্মশালার প্রথম দিন আলোচক হিসেবে ছিলেন – ড. মোতাহার আকন্দ, রাইটস সেন্টার ট্রাস্ট, হিউম্যান রাইটস, জেন্ডার এন্ড ট্রেইনিং স্পেশালিস্ট। তিনি লিডারশিপ নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা আলোচনা করেছেন। লিডারশীপের ক্ষেত্রে- ‘বুদ্ধিমত্তা, কল্পনাশক্তি ও কাণ্ডজ্ঞান’ এই তিনটিকে তিনি বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন- গুণাবলি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, প্রবলেম সলভিং দক্ষতা, বিশ্লেষণী দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, উদ্বুদ্ধকরণ, দ্বন্দ নিরসন-সমস্যা সমাধান, সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতাকে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার ২য় দিন ২ টি পর্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
.
প্রথম প্রশিক্ষক ছিলেন – সানাইয়া ফাহিম আনসারি, নেটওয়ার্ক ফর রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং এন্ড কনসালটেন্ট, আহা ( AHA) প্রজেক্ট। তিনি, আইন, নীতি এবং নারীদের বিভিন্ন ইস্যু সংক্রান্ত বিধিবিধান নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন। প্রশিক্ষণটির মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী নারীদের ভেতর থেকে তাদের অব্যক্ত কথাগুলো যেমন বের করে এনেছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার মধ্য দিয়ে সেশনটিকে তথ্যবহুল করে তুলেছেন। দ্বিতীয় আলোচক হিসেবে ছিলেন- চন্দ্র ত্রিপুরা, ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর, হিল রিসোর্স সেন্টার।
.
তিনি অনলাইন ক্যাম্পেইন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত আলোচনা করেছেন। একই সাথে টিম ওয়ার্কিং এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মতামত ভিত্তিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে পুরো সেশনটা মনোমুগ্ধকরভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ বিস্তারে বিশ্বের আর্থ-সামাজিক অবস্থা থমকে আছে। কর্মহীনতা ও দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থাকার ফলে সহিংসতা বেড়েছে। বিশেষ করে নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে।
.
এ অবস্থায় সমাজের মানুষের মাঝে সহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে নারী নেতৃত্বের বিকাশ জরুরি হয়ে পড়েছে। লকডাউনে নারীদের জীবন সুন্দর হওয়া শুধু নয় নারী জীবন বদলানোর যথাযোগ্য চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। আমাদের বাঙালি সমাজের পরিবার গঠন ও পরিবারের শান্তি-শৃঙ্খলা নারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি বর্তমানে কর্মস্থলে নারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে কর্মশালার উপস্থাপনে উল্লেখিত বিষয়গুলো উঠে এসেছে।দুইদিনব্যাপী ট্রেনিং এর বিশদ আলোচনা প্রতিটি নারীর জীবনপথে নেতৃত্ব প্রদানে সাহায্য করবে।
.
প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে নারী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি। উইমেন লিডার্স এর নারীরাই আগামী স্বপ্নময় পৃথিবী গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই ধরনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তারা আরো বেশি নেতৃত্বকে বিকশিত করতে পারবে।
.
প্রবীণ ত্রিপুরার চমৎকার উপস্থাপনায়, প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ-র সার্বিক তত্ত্বাবধানে, নিপা পাল এবং কো- হোস্টদের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল প্রোগ্রামটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
.
উল্লেখ্য, নারী নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন নারী শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে “উইমেন লিডার্স”।
.
শান্তি, সামাজিক সহিষ্ণুতা, ঘৃণা- বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পরিহার এবং কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট নারী সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করছে এই প্রকল্প। উইমেন লিডার্স মূলত অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

“উইমেন লিডার্সে’র আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

Update Time : ০৯:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
মো: শুভ ইসলাম :
নারী নেতৃত্বের বিকাশ ও নারীর জীবনের নানাবিধ প্রতিকূলতা- নারী সহিংসতা, বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা, লিঙ্গ বৈষম্যসহ সমাজে চলমান প্রভৃতি অসমতা বিষয়াবলীর নিরসনে “উইমেন লিডার্স “প্রজেক্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কোভিডের এই দুঃসময়ে নারী কিভাবে নেতৃত্ব দিবে, সেই লক্ষ্যে উইমেন লিডার্স কর্তৃক- গত ৭ ও ৮ এপ্রিল ২০২১ দুইদিন ব্যাপী পিস অ্যাম্বাসিডর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
.
কর্মশালার প্রথম দিন আলোচক হিসেবে ছিলেন – ড. মোতাহার আকন্দ, রাইটস সেন্টার ট্রাস্ট, হিউম্যান রাইটস, জেন্ডার এন্ড ট্রেইনিং স্পেশালিস্ট। তিনি লিডারশিপ নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা আলোচনা করেছেন। লিডারশীপের ক্ষেত্রে- ‘বুদ্ধিমত্তা, কল্পনাশক্তি ও কাণ্ডজ্ঞান’ এই তিনটিকে তিনি বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন- গুণাবলি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, প্রবলেম সলভিং দক্ষতা, বিশ্লেষণী দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, উদ্বুদ্ধকরণ, দ্বন্দ নিরসন-সমস্যা সমাধান, সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতাকে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার ২য় দিন ২ টি পর্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
.
প্রথম প্রশিক্ষক ছিলেন – সানাইয়া ফাহিম আনসারি, নেটওয়ার্ক ফর রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং এন্ড কনসালটেন্ট, আহা ( AHA) প্রজেক্ট। তিনি, আইন, নীতি এবং নারীদের বিভিন্ন ইস্যু সংক্রান্ত বিধিবিধান নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন। প্রশিক্ষণটির মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী নারীদের ভেতর থেকে তাদের অব্যক্ত কথাগুলো যেমন বের করে এনেছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার মধ্য দিয়ে সেশনটিকে তথ্যবহুল করে তুলেছেন। দ্বিতীয় আলোচক হিসেবে ছিলেন- চন্দ্র ত্রিপুরা, ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর, হিল রিসোর্স সেন্টার।
.
তিনি অনলাইন ক্যাম্পেইন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত আলোচনা করেছেন। একই সাথে টিম ওয়ার্কিং এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মতামত ভিত্তিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে পুরো সেশনটা মনোমুগ্ধকরভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ বিস্তারে বিশ্বের আর্থ-সামাজিক অবস্থা থমকে আছে। কর্মহীনতা ও দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থাকার ফলে সহিংসতা বেড়েছে। বিশেষ করে নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে।
.
এ অবস্থায় সমাজের মানুষের মাঝে সহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে নারী নেতৃত্বের বিকাশ জরুরি হয়ে পড়েছে। লকডাউনে নারীদের জীবন সুন্দর হওয়া শুধু নয় নারী জীবন বদলানোর যথাযোগ্য চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। আমাদের বাঙালি সমাজের পরিবার গঠন ও পরিবারের শান্তি-শৃঙ্খলা নারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি বর্তমানে কর্মস্থলে নারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে কর্মশালার উপস্থাপনে উল্লেখিত বিষয়গুলো উঠে এসেছে।দুইদিনব্যাপী ট্রেনিং এর বিশদ আলোচনা প্রতিটি নারীর জীবনপথে নেতৃত্ব প্রদানে সাহায্য করবে।
.
প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে নারী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি। উইমেন লিডার্স এর নারীরাই আগামী স্বপ্নময় পৃথিবী গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই ধরনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তারা আরো বেশি নেতৃত্বকে বিকশিত করতে পারবে।
.
প্রবীণ ত্রিপুরার চমৎকার উপস্থাপনায়, প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ-র সার্বিক তত্ত্বাবধানে, নিপা পাল এবং কো- হোস্টদের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল প্রোগ্রামটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
.
উল্লেখ্য, নারী নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন নারী শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে “উইমেন লিডার্স”।
.
শান্তি, সামাজিক সহিষ্ণুতা, ঘৃণা- বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পরিহার এবং কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট নারী সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করছে এই প্রকল্প। উইমেন লিডার্স মূলত অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ।