ইন্টেলের বাজার দর কমেছে ৮০০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

চিপ সংকট এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটারের চাহিদা কমায় ৮০০ কোটি ডলার বাজার দর হারিয়েছে ইন্টেল। বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩০০ কোটি ডলার আয় কমার পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টেলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতি হারিয়েছে। বিশাল অঙ্কের বাজার দর হারানোয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। কোনো কিছু দিয়েই ইন্টেলের এই ঐতিহাসিক দরপতনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রকারেজ ফার্ম রোজেনব্ল্যাট সিকিউরিটিজের অন্যতম বিশ্লেষক হ্যান্স মোসেসম্যান। তিনি বলেন, ‘যেখানে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস এবং এনভিডিয়া তাদের শেয়ার দর যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়ে বছর শেষ করেছে, সেখানে ইন্টেলের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির এই দরপতন কোনো কিছু দিয়েই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।’

তবে বাজার ধরতে ইন্টেল তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী প্যাট গেলসিংগার বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে উৎপাদন বাড়াতে এখন আমরা চুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে নতুন কারখানা নির্মাণের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে ইন্টেল।’ বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের চলমান মন্দা পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছর ৩০০ কোটি ডলার খরচ কমাতে হতে পারে ইন্টেলকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইন্টেলের বাজার দর কমেছে ৮০০ কোটি ডলার

Update Time : ০৩:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

চিপ সংকট এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটারের চাহিদা কমায় ৮০০ কোটি ডলার বাজার দর হারিয়েছে ইন্টেল। বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩০০ কোটি ডলার আয় কমার পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টেলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতি হারিয়েছে। বিশাল অঙ্কের বাজার দর হারানোয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। কোনো কিছু দিয়েই ইন্টেলের এই ঐতিহাসিক দরপতনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রকারেজ ফার্ম রোজেনব্ল্যাট সিকিউরিটিজের অন্যতম বিশ্লেষক হ্যান্স মোসেসম্যান। তিনি বলেন, ‘যেখানে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস এবং এনভিডিয়া তাদের শেয়ার দর যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়ে বছর শেষ করেছে, সেখানে ইন্টেলের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির এই দরপতন কোনো কিছু দিয়েই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।’

তবে বাজার ধরতে ইন্টেল তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী প্যাট গেলসিংগার বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে উৎপাদন বাড়াতে এখন আমরা চুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে নতুন কারখানা নির্মাণের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে ইন্টেল।’ বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের চলমান মন্দা পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছর ৩০০ কোটি ডলার খরচ কমাতে হতে পারে ইন্টেলকে।