ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৩

  • Update Time : ১২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / 143

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের পটু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৬), আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল (২২) ও আবদুল মনু মিয়ার মেয়ে খুশী বেগম (৫০)। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক।

পুলিশ জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে আলোকবালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। একইসঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। এদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। সবশেষ দলীয় চাপে ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুর ৩টার দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন আসাদুল্লাহ। ওইদিনই কথাকাটাকাটির জের ধরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

ওই দ্বন্দ্বের জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা দীপু সমর্থদের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপুর সমর্থক আমির হোসেন, আশরাফুল ও খুশী বেগম নিহত হন। ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৩

Update Time : ১২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের পটু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৬), আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল (২২) ও আবদুল মনু মিয়ার মেয়ে খুশী বেগম (৫০)। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক।

পুলিশ জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে আলোকবালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। একইসঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। এদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। সবশেষ দলীয় চাপে ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুর ৩টার দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন আসাদুল্লাহ। ওইদিনই কথাকাটাকাটির জের ধরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

ওই দ্বন্দ্বের জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা দীপু সমর্থদের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপুর সমর্থক আমির হোসেন, আশরাফুল ও খুশী বেগম নিহত হন। ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।