আয়-ব্যয় দুটিই বেড়েছে আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / 8

গত বছর আওয়ামী লীগের আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ব্যয়ও। এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক স্থিতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। পরে দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বিস্তারিত জানান।

আয়-ব্যয় বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের বছরের তুলনায় যা ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটির ব্যয় বেড়েছে ২ কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা।

কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এই বিবরণী ৩০ জুনের মধ্যে দিতে হয়। আমরা দুদিন আগেই দিলাম।

২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল জানিয়ে আশিকুর রহমান বলেন, গত বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন-যার পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) ১ কোটি ১ লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যার মাধ্যমে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে।

দলটির ব্যয় নিয়ে তিনি বলেন, ব্যয় হচ্ছে বেতন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানারকম খরচ। পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা যা আমরা করে থাকি। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা আছে পাশাপাশি এ বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা, এ দুটো যোগ করলে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়।

এদিকে গত ৬ মাসে আয় বেড়েছে জানিয়ে দলটির কোষাধাক্ষ্য আরও বলেন, এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি। অন্য দলের খরচ যদি হয় ১০ টাকা, আমাদের খরচ হয় দুই টাকা। কর্মীরা পকেট থেকে খরচ করে। কারণ আমরা ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি করি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ব্যয় ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৯ টাকা। এর আগের বছর ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের মোট আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকাবছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আয়-ব্যয় দুটিই বেড়েছে আওয়ামী লীগের

Update Time : ০৩:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

গত বছর আওয়ামী লীগের আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ব্যয়ও। এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক স্থিতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। পরে দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বিস্তারিত জানান।

আয়-ব্যয় বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের বছরের তুলনায় যা ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটির ব্যয় বেড়েছে ২ কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা।

কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এই বিবরণী ৩০ জুনের মধ্যে দিতে হয়। আমরা দুদিন আগেই দিলাম।

২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল জানিয়ে আশিকুর রহমান বলেন, গত বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন-যার পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) ১ কোটি ১ লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যার মাধ্যমে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে।

দলটির ব্যয় নিয়ে তিনি বলেন, ব্যয় হচ্ছে বেতন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানারকম খরচ। পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা যা আমরা করে থাকি। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা আছে পাশাপাশি এ বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা, এ দুটো যোগ করলে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়।

এদিকে গত ৬ মাসে আয় বেড়েছে জানিয়ে দলটির কোষাধাক্ষ্য আরও বলেন, এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি। অন্য দলের খরচ যদি হয় ১০ টাকা, আমাদের খরচ হয় দুই টাকা। কর্মীরা পকেট থেকে খরচ করে। কারণ আমরা ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি করি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ব্যয় ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৯ টাকা। এর আগের বছর ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের মোট আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকাবছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।