আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:১৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৪৫ Time View

কমল পাটোয়ারী,মীরসরাই (চট্রগ্রাম):

মীরসরাইয়ে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।ফলনও খুব ভালো হয়েছে।গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশ ভালো ফলন হয়েছে আমনের। কিন্তু এখন ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের মাঝে।ধানের ন্যায্য মূল্য পেতে সরকারী ভাবে ধান কেনার দাবী কৃষকদের।

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় এ বছর ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ধান চাষ হয়েছে ২ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভালো থাকাতে ফলনও ভালো হয়েছে।মীরসরাইতে বি ধান ৪৯, ৩৯, ৪৪, বি আর ২২ ধানের চাষ করা হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় জাত নাকেসি ধানের চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী চাষ করা হয়েছে বি ধান ৪৯।

উপজেলার তেতৈয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে উৎপাদন খরচ উঠবে না। কৃষকরা যাতে প্রকৃত মূল্য পায় সেজন্য সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনার পাশাপাশি বাজার তদারকির দাবি জানান তিনি।

গোপালপুর এলাকার কৃষক হারাধন বলেন, আমি প্রায় ১ একর জমিতে বিআর ২২ ধান করেছি। ১ একরে আমার খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। ধানের ফলন ভালো হলেও বাজারে দাম খুবই কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি আড়ি (১৬ কেজি) ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দামে। সে অনুযায়ী ১ একরে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ হবে। দাম কম হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ উঠছেনা। সরকারীভাবে কৃষকের থেকে ধান কেনার দাবী জানান তিনি।

সব মিলিয়ে উপজেলার কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন নবান্নের আনন্দের প্রহরই অপেক্ষা করছে। সবাই পিঠেপুলির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দু- এক সপ্তাহের মধ্যেই উঠোনে উঠোনে ধান আর শীতের পিঠা পায়েসের ধূমে মত্ত হবে সবাই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

Update Time : ০২:১৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

কমল পাটোয়ারী,মীরসরাই (চট্রগ্রাম):

মীরসরাইয়ে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।ফলনও খুব ভালো হয়েছে।গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশ ভালো ফলন হয়েছে আমনের। কিন্তু এখন ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কা কৃষকদের মাঝে।ধানের ন্যায্য মূল্য পেতে সরকারী ভাবে ধান কেনার দাবী কৃষকদের।

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় এ বছর ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ধান চাষ হয়েছে ২ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভালো থাকাতে ফলনও ভালো হয়েছে।মীরসরাইতে বি ধান ৪৯, ৩৯, ৪৪, বি আর ২২ ধানের চাষ করা হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় জাত নাকেসি ধানের চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী চাষ করা হয়েছে বি ধান ৪৯।

উপজেলার তেতৈয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে উৎপাদন খরচ উঠবে না। কৃষকরা যাতে প্রকৃত মূল্য পায় সেজন্য সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনার পাশাপাশি বাজার তদারকির দাবি জানান তিনি।

গোপালপুর এলাকার কৃষক হারাধন বলেন, আমি প্রায় ১ একর জমিতে বিআর ২২ ধান করেছি। ১ একরে আমার খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। ধানের ফলন ভালো হলেও বাজারে দাম খুবই কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি আড়ি (১৬ কেজি) ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দামে। সে অনুযায়ী ১ একরে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ হবে। দাম কম হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ উঠছেনা। সরকারীভাবে কৃষকের থেকে ধান কেনার দাবী জানান তিনি।

সব মিলিয়ে উপজেলার কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন নবান্নের আনন্দের প্রহরই অপেক্ষা করছে। সবাই পিঠেপুলির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দু- এক সপ্তাহের মধ্যেই উঠোনে উঠোনে ধান আর শীতের পিঠা পায়েসের ধূমে মত্ত হবে সবাই।