আবার ফিরব কবে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • / ২০৫ Time View

করোনার কারনে স্কুল কলেজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ও এক বছরের বেশী সময় বন্ধ রয়েছে। স্কুল কলেজে অটোপাস দেওয়া গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব নয়। তাই হতাশায় কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। এমন অবস্থায় ক্লাসে খোলা নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা হয় বিডি সমাচারের সাথে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম

ইমন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দেখতে দেখতে কেটে গেছে ১৫ টি মাস। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর কাছে আর যাই হোক গৃহবন্দি জীবন মানায় না। চুল ছাড়া যেমন মাথা অসম্পূর্ণ, তেমনি শিক্ষার্থী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যদি গার্মেন্টস, মার্কেট, ফ্যাক্টরি ও যানবাহন চলতে পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় নয় কেন ? দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান করার ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।

ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে। সেশনজটের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। ভ্যাকসিনের নামে প্রহসন বন্ধ করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন স্বাভাবিক করুন এমনটাই প্রত্যাশা।

খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ক্যাম্পাস শদ্বটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। আর শিক্ষার্থীহীন ক্যাম্পাস মানে শুন শান নিরবতা ও কোলাহলবিহীন পরিবেশ। ক্যাম্পাসকে মুখরিত করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এই দীর্ঘ বন্ধে শিক্ষার্থীরা গৃহবন্দী জীবনযাপন করছে। এতে তাদের মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অনেকের অনেক স্বপ্ন ঝরে যাচ্ছে। সেশনজটের আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়, পরীক্ষা দিতে চায়। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসিকতার দিকটি ভেবে ক্যাম্পাস ফেরা অত্যাবশ্যক হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যবস্থা করা উচিত।

আবু তালহা আকাশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

“ক্যাম্পাস, লেখাপড়া, আড্ডা, অ্যাসাইনমেন্ট, এগুলোই একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার কাছে স্বাভাবিক বিষয়। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই! এই যে দীর্ঘ একটা সময় লেখাপড়া থেকে দূরে থাকার দরুন আজ জীবনে যেন স্বাভাবিক সেই গতিবিধি, জীবনযাপন সবটাই হুমকির মুখে। আজ নেই কোন রুটিন, নেই ছন্দ, নেই স্বাভাবিকতা। আগে আমার মত হতাশাগ্রস্তদের রক্ষা করার অনুরোধ নীতিনির্ধারকদের নিকট! শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।

মেরুদণ্ডকে বাঁকা থাকলে কোন জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়। শেষ করতে চায় তাদের গ্রাজুয়েশন। উপরন্তু আশা করছি, প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব ব্যবস্থা নিয়ে অতিব দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে পরিক্ষা গ্রহন সহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করবেন।”

মোশারফ হোসাইন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা

দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা এখন মানসিক বিপর্যয়। করোনার বিপর্যস্ত সময়কে মানিয়ে নিয়ে কিছুদিন সবার মতো আমিও উচ্ছ্বসিত ছিলাম কিন্তু নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে এখন দুর্বিষহ দিন কাটাতে হচ্ছে। আমি যেমন মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি তেমনি আমার মতো অনেকে হয়ত শারীরিক সহিংসতা শিকার, আর্থিক অসচ্ছলতায় দাঁড়িয়ে আছে অথবা বিপথগামী হয়ে গেছে।

দেশের সবকিছুর মাঝে স্বাভাবিকতা ফিরলেও ফিরেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, অস্বাভাবিকতার কালো ছায়া আমাকে যেমন অন্ধকারের দিকে টিনে নিচ্ছে তেমনি অনেকের সময়কে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। করোনার আধার কাটার অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। কতদিন দেখা হয়না বন্ধুদের সাথে, অনলাইন আমাদের কাছাকাছি এনে দিলেও পাশাপাশি এনে দিতে পারেনা, আমরা চিরচেনা সবুজের মাঝে একত্রিত হতে পারিনা, ক্যাম্পাসের খেলার মাঠও অপেক্ষায় আছে কবে ফিরবো আমরা। আমিও চাই আবারও ক্যাম্পাসে ফিরতে তবে করোনার ভয়কে জয় করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হোক।

ইসরাত জাহান, চট্টগ্রাম কলেজ

শিক্ষার্থীরা দেশ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই কারিগর আজ ধ্বংসের মুখে। ২০২০সালের মার্চ থেকে দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একে একে ঝড়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। হতাশায় স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে অনেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার একের পর এক তারিখ ঘোষণা করলেও সেই তারিখ আসার পূর্বে নতুন তারিখ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারিখ পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নামক শব্দটাও পরিবর্তন হতে হতে তা এখন নিশ্চিহ্ন প্রায়।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলা হলেও এটা কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে না খেলে বরং সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

আবার ফিরব কবে!

Update Time : ১২:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

করোনার কারনে স্কুল কলেজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ও এক বছরের বেশী সময় বন্ধ রয়েছে। স্কুল কলেজে অটোপাস দেওয়া গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব নয়। তাই হতাশায় কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। এমন অবস্থায় ক্লাসে খোলা নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা হয় বিডি সমাচারের সাথে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম

ইমন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দেখতে দেখতে কেটে গেছে ১৫ টি মাস। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর কাছে আর যাই হোক গৃহবন্দি জীবন মানায় না। চুল ছাড়া যেমন মাথা অসম্পূর্ণ, তেমনি শিক্ষার্থী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যদি গার্মেন্টস, মার্কেট, ফ্যাক্টরি ও যানবাহন চলতে পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় নয় কেন ? দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান করার ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।

ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে। সেশনজটের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। ভ্যাকসিনের নামে প্রহসন বন্ধ করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন স্বাভাবিক করুন এমনটাই প্রত্যাশা।

খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ক্যাম্পাস শদ্বটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। আর শিক্ষার্থীহীন ক্যাম্পাস মানে শুন শান নিরবতা ও কোলাহলবিহীন পরিবেশ। ক্যাম্পাসকে মুখরিত করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এই দীর্ঘ বন্ধে শিক্ষার্থীরা গৃহবন্দী জীবনযাপন করছে। এতে তাদের মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অনেকের অনেক স্বপ্ন ঝরে যাচ্ছে। সেশনজটের আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়, পরীক্ষা দিতে চায়। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসিকতার দিকটি ভেবে ক্যাম্পাস ফেরা অত্যাবশ্যক হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যবস্থা করা উচিত।

আবু তালহা আকাশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

“ক্যাম্পাস, লেখাপড়া, আড্ডা, অ্যাসাইনমেন্ট, এগুলোই একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার কাছে স্বাভাবিক বিষয়। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই! এই যে দীর্ঘ একটা সময় লেখাপড়া থেকে দূরে থাকার দরুন আজ জীবনে যেন স্বাভাবিক সেই গতিবিধি, জীবনযাপন সবটাই হুমকির মুখে। আজ নেই কোন রুটিন, নেই ছন্দ, নেই স্বাভাবিকতা। আগে আমার মত হতাশাগ্রস্তদের রক্ষা করার অনুরোধ নীতিনির্ধারকদের নিকট! শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।

মেরুদণ্ডকে বাঁকা থাকলে কোন জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়। শেষ করতে চায় তাদের গ্রাজুয়েশন। উপরন্তু আশা করছি, প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব ব্যবস্থা নিয়ে অতিব দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে পরিক্ষা গ্রহন সহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করবেন।”

মোশারফ হোসাইন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা

দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা এখন মানসিক বিপর্যয়। করোনার বিপর্যস্ত সময়কে মানিয়ে নিয়ে কিছুদিন সবার মতো আমিও উচ্ছ্বসিত ছিলাম কিন্তু নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে এখন দুর্বিষহ দিন কাটাতে হচ্ছে। আমি যেমন মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি তেমনি আমার মতো অনেকে হয়ত শারীরিক সহিংসতা শিকার, আর্থিক অসচ্ছলতায় দাঁড়িয়ে আছে অথবা বিপথগামী হয়ে গেছে।

দেশের সবকিছুর মাঝে স্বাভাবিকতা ফিরলেও ফিরেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, অস্বাভাবিকতার কালো ছায়া আমাকে যেমন অন্ধকারের দিকে টিনে নিচ্ছে তেমনি অনেকের সময়কে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। করোনার আধার কাটার অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। কতদিন দেখা হয়না বন্ধুদের সাথে, অনলাইন আমাদের কাছাকাছি এনে দিলেও পাশাপাশি এনে দিতে পারেনা, আমরা চিরচেনা সবুজের মাঝে একত্রিত হতে পারিনা, ক্যাম্পাসের খেলার মাঠও অপেক্ষায় আছে কবে ফিরবো আমরা। আমিও চাই আবারও ক্যাম্পাসে ফিরতে তবে করোনার ভয়কে জয় করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হোক।

ইসরাত জাহান, চট্টগ্রাম কলেজ

শিক্ষার্থীরা দেশ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই কারিগর আজ ধ্বংসের মুখে। ২০২০সালের মার্চ থেকে দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একে একে ঝড়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। হতাশায় স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে অনেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার একের পর এক তারিখ ঘোষণা করলেও সেই তারিখ আসার পূর্বে নতুন তারিখ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারিখ পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নামক শব্দটাও পরিবর্তন হতে হতে তা এখন নিশ্চিহ্ন প্রায়।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলা হলেও এটা কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে না খেলে বরং সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।