আবারও সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / 6

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে রাতভর বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে আবারও বাড়ছে নদীর পানি। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। প্রথম দফার বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়ছেন সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত করেছে। এরপর থেকে এই অংশে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে। এরইমধ্যে অনেকের বাড়ির আঙিনায় পানি প্রবেশ করেছে।

আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধীরা
এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে বর্ষার বৃষ্টি ও চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রী ও এলাকাবাসীকে চলাচলে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়বে। একইসঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আবারও সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

Update Time : ১০:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে রাতভর বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে আবারও বাড়ছে নদীর পানি। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। প্রথম দফার বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়ছেন সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত করেছে। এরপর থেকে এই অংশে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে। এরইমধ্যে অনেকের বাড়ির আঙিনায় পানি প্রবেশ করেছে।

আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধীরা
এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে বর্ষার বৃষ্টি ও চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রী ও এলাকাবাসীকে চলাচলে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়বে। একইসঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।