অর্থপাচার নিয়ে আইএমএফের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

  • Update Time : ০২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 8

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্যাংক খাতসহ অর্থপাচার, কর ও ভ্যাট সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্কার কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ ঋণ লাগবে এখন পর্যন্ত আইএমএফকে জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করবো, কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলইস আরও আলাপ করবে। আমার সঙ্গে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সঙ্গেও বসবে।

‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ তারপর অক্টোবর মাসে ওয়াল্ডব্যাংক মিটিংয়ে যাবে, পলিসি মেকারদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু… রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। বলেছি, দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাব। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’

তাদের কাছে কী চেয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদের কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে ইফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্কার একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

অর্থপাচার নিয়ে আইএমএফের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

Update Time : ০২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্যাংক খাতসহ অর্থপাচার, কর ও ভ্যাট সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্কার কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ ঋণ লাগবে এখন পর্যন্ত আইএমএফকে জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করবো, কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলইস আরও আলাপ করবে। আমার সঙ্গে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সঙ্গেও বসবে।

‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ তারপর অক্টোবর মাসে ওয়াল্ডব্যাংক মিটিংয়ে যাবে, পলিসি মেকারদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু… রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। বলেছি, দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাব। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’

তাদের কাছে কী চেয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদের কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে ইফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্কার একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’