অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে নিয়ে বিতর্কে জড়ালো ঢাবির আইন বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৩৯ Time View

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে নিয়ে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় বিতর্ক হয়েছে৷

তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, এ নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের দুটি পক্ষ তর্কে জড়ায়৷ তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷

সোমবার(২৫ এপ্রিল) দুপুরে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির ওই সভা হয়৷ সভার আলোচ্যসূচিতে অবশ্য রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে কি না, এমন কোনো বিষয় ছিল না৷ মূলত রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে থাকা বিভাগের পরীক্ষা কমিটিগুলো পুনর্গঠন বিষয়ে সভাটি ডাকা হয়েছিল৷

জানা গেছে, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের (আসিফ নজরুল) সভাপতিত্বে একাডেমিক কমিটির ওই সভা হয়৷ সভার শেষ দিকে অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলেন, রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আইনসংগত হয়নি৷ এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো চিঠি দেওয়া বা জানতে চাওয়া যায় কি না, তা জানতে চান তিনি৷

তখন এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)৷ তিনি বলেন, সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকায় এ বিষয়ে এ সভায় কোনো আলোচনা হতে পারে না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ফোরাম সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বিষয়ে বিভাগের একাডেমিক কমিটিতে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই৷ এ ছাড়া সিন্ডিকেট আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির কাছে এ বিষয়ে কোনো আইনি মতামত চায়নি৷

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একাডেমিক কমিটির সভায় অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি৷ সভা শেষে শিক্ষকদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের আলোচনা হতেই পারে৷’

উল্লেখ্য,১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ সেখানেই তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান৷ পরে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশ প্রত্যাহার করেন।

পরে ২০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে নিয়ে বিতর্কে জড়ালো ঢাবির আইন বিভাগ

Update Time : ১১:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে নিয়ে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় বিতর্ক হয়েছে৷

তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, এ নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের দুটি পক্ষ তর্কে জড়ায়৷ তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷

সোমবার(২৫ এপ্রিল) দুপুরে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির ওই সভা হয়৷ সভার আলোচ্যসূচিতে অবশ্য রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে কি না, এমন কোনো বিষয় ছিল না৷ মূলত রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে থাকা বিভাগের পরীক্ষা কমিটিগুলো পুনর্গঠন বিষয়ে সভাটি ডাকা হয়েছিল৷

জানা গেছে, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের (আসিফ নজরুল) সভাপতিত্বে একাডেমিক কমিটির ওই সভা হয়৷ সভার শেষ দিকে অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলেন, রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আইনসংগত হয়নি৷ এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো চিঠি দেওয়া বা জানতে চাওয়া যায় কি না, তা জানতে চান তিনি৷

তখন এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)৷ তিনি বলেন, সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকায় এ বিষয়ে এ সভায় কোনো আলোচনা হতে পারে না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ফোরাম সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বিষয়ে বিভাগের একাডেমিক কমিটিতে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই৷ এ ছাড়া সিন্ডিকেট আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির কাছে এ বিষয়ে কোনো আইনি মতামত চায়নি৷

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একাডেমিক কমিটির সভায় অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি৷ সভা শেষে শিক্ষকদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের আলোচনা হতেই পারে৷’

উল্লেখ্য,১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ সেখানেই তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান৷ পরে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশ প্রত্যাহার করেন।

পরে ২০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।