স্বদেশে ফিরে গেল মিয়ানমারের ১২৩ বিজিপি ও সেনা
- Update Time : ০৫:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 14
অন্তর দে বিশাল, কক্সবাজার :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ জন রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্যকে নিজ দেশ মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে ১২৩ মিয়ানমার বিজিপি-সেনা মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে সকালে মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন সাজা ভোগ করে ৮৫ বাংলাদেশি কক্সবাজারে ফিরেন।
গত দুই মাসে মিয়ানমারের আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের মধ্যেই কয়েক দফায় টেকনাফের নাফ নদী অতিক্রম করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং বিজিপির ১২৩ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এতদিন ধরে তাঁদের টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার একটি বহুতল ভবনে রাখা হয়েছিলো।
আজ সকালে একাধিক গাড়িতে করে তাঁদেরকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটার বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে একটি জাহাজে করে তাঁদের মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুঃ সালা্হউদ্দিন জানান , মিয়ানমারের কারাগার ভোগ শেষ করে ৮৫ বাংলাদেশি আজ দেশে ফিরেছে।
গতকাল শনিবার ৮৫ সিটওয়ে বন্দর থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলো।
সকালে জাহাজটি কক্সবাজার উপকূলের সোনাদিয়া চ্যানেলে হয়ে শহরের নুনিয়াছটার বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাটে আসে। একই জাহাজে করেই বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপির ১২৩ সদস্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, রাখাইনে যুদ্ধ চলাকালে নাফনদ পেরিয়ে সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের সেনাসহ ১২৩ বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ বিজিপি, সেনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এরপর ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ২৮৮ সেনা ও বিজিপি ফেরত পাঠানো হয় এবং ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফেরত আসেন। এরপর সর্বশেষ ৮ জুন একই ঘাট থেকে ১৩৪ জন বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত যায় এবং মিয়ানমার থেকে ফেরত আসেন ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।