সরকারের মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি : ফখরুল

  • Update Time : ০৬:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • / 147

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। সরকারের মেগা প্রজেক্টগুলোতে মেগা দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হওয়ার জন্য সরকারি দলের লোকেরা ২-৩ লাখ টাকা খরচ করছে। এ থেকেই বোঝা যায় এ পদ কত আকর্ষণীয় ও লোভনীয়। কারণ দুস্থ মানুষের টাকা তারা নিজেরাই নিয়ে নিচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ এখন গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণেই চলছে। এ পর্যবেক্ষণ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল পর্যায়েও। চাকরির ক্ষেত্রেও এখন গোয়েন্দা ব্যবহার করা হয়। যদি এতটুকুও বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার আর চাকরি হয় না।

১৯৭১-৭৫ সময়কালীন সরকারের পটভূমি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে যাওয়া যেত, বিচার পাওয়া যেত। কিন্তু এখন কারো কাছে যাওয়াও যায় না, বিচারও পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন একটি নৈতিকতার আন্দোলন। এতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমরাও সারাদেশে আন্দোলন করেছি। এখন যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করছে। এটা কোনো সরকারের কর্মকাণ্ড হতে পারে না।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, দফতর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সরকারের মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি : ফখরুল

Update Time : ০৬:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। সরকারের মেগা প্রজেক্টগুলোতে মেগা দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হওয়ার জন্য সরকারি দলের লোকেরা ২-৩ লাখ টাকা খরচ করছে। এ থেকেই বোঝা যায় এ পদ কত আকর্ষণীয় ও লোভনীয়। কারণ দুস্থ মানুষের টাকা তারা নিজেরাই নিয়ে নিচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ এখন গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণেই চলছে। এ পর্যবেক্ষণ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল পর্যায়েও। চাকরির ক্ষেত্রেও এখন গোয়েন্দা ব্যবহার করা হয়। যদি এতটুকুও বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার আর চাকরি হয় না।

১৯৭১-৭৫ সময়কালীন সরকারের পটভূমি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে যাওয়া যেত, বিচার পাওয়া যেত। কিন্তু এখন কারো কাছে যাওয়াও যায় না, বিচারও পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন একটি নৈতিকতার আন্দোলন। এতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমরাও সারাদেশে আন্দোলন করেছি। এখন যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করছে। এটা কোনো সরকারের কর্মকাণ্ড হতে পারে না।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, দফতর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।