শিক্ষার্থীদের হামলায় জাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

  • Update Time : ০২:১৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 26

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘তাঁকে রাত সোয়া নয়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা পরীক্ষা করে জানতে পারি, উনি মারা গেছেন। মূলত উনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

আশুলিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেনও শামীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় থাকেন। গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে মারধর করেন। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাঁকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে আশুলিয়া থানা-পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা শাখায় আসে। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একজনকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শিক্ষার্থীদের হামলায় জাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

Update Time : ০২:১৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘তাঁকে রাত সোয়া নয়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা পরীক্ষা করে জানতে পারি, উনি মারা গেছেন। মূলত উনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

আশুলিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেনও শামীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় থাকেন। গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে মারধর করেন। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাঁকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে আশুলিয়া থানা-পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা শাখায় আসে। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একজনকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।