রাণীশংকৈল পৌর শহরের বড় ব্রিজের দু’পাশের আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান
- Update Time : ০৭:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
- / 23
হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের প্রবেশপথ বন্দর কুলিক নদীর বড় ব্রিজের সামনে মূল সড়কের দুই ধারে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভা থেকে ফেলানো ময়লা আবর্জনার বিশাল লম্বা স্তূপে পরিনত হয়েছে। মাঝে মাঝে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ওইসব আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে দিলে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পৌর শহরের আশপাশের এলাকা। এসময় যান যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটে। এর পরও ময়লা আবর্জনার উচ্ছিষ্ট অংশ খাওয়ার লোভে সব সময় ৩০-৫০ টি কুকুর সেখানে অবস্থান করে। পথচারী ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা কুকুর কামড়ানোর ভয়ে আতঙ্কে থাকে। এছাড়াও কুলিক নদীর পানিতে পলিথিনসহ নানা ধরনের বর্জ্য নদীতে পড়ে নাব্যতা হারানোসহ নদীর গতিপথ রোধ করছে। সর্বপরি চারদিক ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌর বাসিন্দা, বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী। বর্ষাকাল এলে দুর্গন্ধে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পট পরিবর্তনে বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন পৌরসভার দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউএনও রকিবুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারিদের নিয়ে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ওই ব্রিজের এলাকাসহ সমগ্র পৌর শহরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)রকিবুল হাসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ কর্মসূচির আওতায় এ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌর শহরের কুলিক নদীর ব্রিজের দু’পাশ জুড়ে দীর্ঘ পঁচা আবর্জনার স্তুপ পুড়িয়ে দেওয়া এবং ক্রেন ব্যবহার করে পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি পৌর শহরের ফুটফাট দখল মুক্ত অভিযান চালানো হয়েছে। এ কর্মসূচি বিষয়ে ইউএনও রকিবুল হাসান বলেন, এ পঁচা আবর্জনা বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল। প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের লিখিত নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সহযোগিতায় এ আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান চালানো হচ্ছে। আপাতত এ আবর্জনা সরিয়ে পৌর শহরের একটি আবর্জনা ফেলার স্থানে রাখা হচ্ছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবত ওই স্থানে জমে থাকা আবর্জনা পঁচে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এতে পথচারি ও এলাকাবাসী প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসী পৌরসভায় ও প্রশাসনের কাছে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু তখন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।