যাত্রাবাড়ীতে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

  • Update Time : ১২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • / 34

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসায় ঢুকে এক দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলার বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

যে দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, তারা হলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।

পুলিশ বলছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তারা দোতলায় থাকতেন। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তার স্ত্রী একই বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। বুধবার (১৯ জুন) রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের লাশ দেখতে পায়। তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে মশারির ভেতর স্ত্রী ফরিদার লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় ওঁত পেতে থাকা খুনিরা তাকে প্রথমে হত্যা করে এবং পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। বাসার পেছনের একটি ভবন বেয়ে এই ভবনে ওঠা যায়। বাসার ভাড়াটেরা দাবি করেছেন, তারা কেউ বিষয়টি টের পাননি।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, নিহত দম্পতির ছেলে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল আলামত সংগ্রহের কাজ করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যাত্রাবাড়ীতে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

Update Time : ১২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসায় ঢুকে এক দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলার বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

যে দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, তারা হলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।

পুলিশ বলছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তারা দোতলায় থাকতেন। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তার স্ত্রী একই বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। বুধবার (১৯ জুন) রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের লাশ দেখতে পায়। তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে মশারির ভেতর স্ত্রী ফরিদার লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় ওঁত পেতে থাকা খুনিরা তাকে প্রথমে হত্যা করে এবং পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। বাসার পেছনের একটি ভবন বেয়ে এই ভবনে ওঠা যায়। বাসার ভাড়াটেরা দাবি করেছেন, তারা কেউ বিষয়টি টের পাননি।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, নিহত দম্পতির ছেলে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল আলামত সংগ্রহের কাজ করছে।