যবিপ্রবির ‘উন্নত মম শির’ টিমের ৫০০ প্যাকেজ যাচ্ছে বন্যার্ত মানুষের কাছে

  • Update Time : ০৪:২৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 20

মোস্তফা গালিব,যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফেনী,নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের ৫০০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী ও খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দিতে রওয়া হয়েছে টিম ‘উন্নত মম শির’ এর প্রতিনিধি দল। এর আগে ১ম ধাপে ৪০০ পরিবারের জন্য খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে যায় টিম ‘উন্নত মম শির’।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোর রাতে এক ট্রাক উপহারসামগ্রী (ত্রাণ) নিয়ে যাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উন্নত মম শির’ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ। তিনি ১ম ধাপের আট সদস্য বিশিষ্ট টিমের (দল) একজন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অনলাইন-অফলাইন মিলে নগদ ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬০২ টাকা সংগ্রহ করেছে টিম উন্নত মম শির। পরিস্থিতি বিবেচনায় অফলাইন অর্থ সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে তবে অনলাইন সংগ্রহ চলছে। এছাড়া শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এদিকে প্রথমবারের ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের মধ্যে ছিল খেজুর, চিড়া,,চিনি, পানি, খাবার স্যালাইন, দিয়াশলাই, নাপা ট্যাবলেট, ন্যাপকিন। পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপে ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২০০ প্যাকেট ফ্যামিলি প্যাক ভারি খাদ্য নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যবিপ্রবি টিম উন্নত মম শির। এছাড়া বুধবার(২৮ আগস্ট) উন্নত মম শিরের একটি টিম অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খুলনা পাইকগাছা এলাকায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে যাবে বলে জানিয়েছেন টিমের সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রথম থেকেই নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে থেকে মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের দায়িত্ব এখন তাদের আমানত বন্যায় দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা ইতিমধ্যে কুমিল্লায় ১০০ টি, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ৩০০ টি পরিবারের কাছে সাধারণ মানুষের দেওয়া উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। ২য় ধাপের প্যাকেজ লক্ষীপুর ও ফেনীতে পৌঁছে দিতে চায় আমরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উন্নত মম শির টিমের সদস্য জালিস মাহমুদ বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা এই ধরনের মানবসেবায় নিজেরা অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। আমি দেশের সকল স্তরের মানুষকে আহ্বান করবো যেন তারাও তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে বন্যার্ত মানুষদের জন্য এগিয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফরহাদ বুলবুল বলেন, আজ ২য় বারের মতো উন্নত মম শিরের একটি টিম উপহারসামগ্রী নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই কাজগুলো সম্ভব হয়েছে। আমি তাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা টিম হয়ে কাজ করছে। একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, যশোর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় থেকে গণত্রাণ, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও পথচারী থেকে আর্থিক সহযোগিতা সংগ্রহ করছেন ও দুটি টিম ফেনী,নোয়াখালী ও কুমিল্লার পানিবন্দি মানুষেরের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং দ্রুতই সেখানেও খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দেবে টিম ‘উন্নত মম শির’।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যবিপ্রবির ‘উন্নত মম শির’ টিমের ৫০০ প্যাকেজ যাচ্ছে বন্যার্ত মানুষের কাছে

Update Time : ০৪:২৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

মোস্তফা গালিব,যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফেনী,নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের ৫০০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী ও খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দিতে রওয়া হয়েছে টিম ‘উন্নত মম শির’ এর প্রতিনিধি দল। এর আগে ১ম ধাপে ৪০০ পরিবারের জন্য খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে যায় টিম ‘উন্নত মম শির’।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোর রাতে এক ট্রাক উপহারসামগ্রী (ত্রাণ) নিয়ে যাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উন্নত মম শির’ এর দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ। তিনি ১ম ধাপের আট সদস্য বিশিষ্ট টিমের (দল) একজন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অনলাইন-অফলাইন মিলে নগদ ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬০২ টাকা সংগ্রহ করেছে টিম উন্নত মম শির। পরিস্থিতি বিবেচনায় অফলাইন অর্থ সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে তবে অনলাইন সংগ্রহ চলছে। এছাড়া শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এদিকে প্রথমবারের ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের মধ্যে ছিল খেজুর, চিড়া,,চিনি, পানি, খাবার স্যালাইন, দিয়াশলাই, নাপা ট্যাবলেট, ন্যাপকিন। পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপে ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২০০ প্যাকেট ফ্যামিলি প্যাক ভারি খাদ্য নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে যবিপ্রবি টিম উন্নত মম শির। এছাড়া বুধবার(২৮ আগস্ট) উন্নত মম শিরের একটি টিম অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খুলনা পাইকগাছা এলাকায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে যাবে বলে জানিয়েছেন টিমের সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রথম থেকেই নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে থেকে মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের দায়িত্ব এখন তাদের আমানত বন্যায় দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা ইতিমধ্যে কুমিল্লায় ১০০ টি, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ৩০০ টি পরিবারের কাছে সাধারণ মানুষের দেওয়া উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। ২য় ধাপের প্যাকেজ লক্ষীপুর ও ফেনীতে পৌঁছে দিতে চায় আমরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উন্নত মম শির টিমের সদস্য জালিস মাহমুদ বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা এই ধরনের মানবসেবায় নিজেরা অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। আমি দেশের সকল স্তরের মানুষকে আহ্বান করবো যেন তারাও তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে বন্যার্ত মানুষদের জন্য এগিয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফরহাদ বুলবুল বলেন, আজ ২য় বারের মতো উন্নত মম শিরের একটি টিম উপহারসামগ্রী নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই কাজগুলো সম্ভব হয়েছে। আমি তাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা টিম হয়ে কাজ করছে। একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, যশোর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় থেকে গণত্রাণ, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও পথচারী থেকে আর্থিক সহযোগিতা সংগ্রহ করছেন ও দুটি টিম ফেনী,নোয়াখালী ও কুমিল্লার পানিবন্দি মানুষেরের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং দ্রুতই সেখানেও খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দেবে টিম ‘উন্নত মম শির’।