মিয়ানমার থেকে আরও ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন: কক্সবাজারে পৌঁছাবেন আগামীকাল

  • Update Time : ০৪:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 6

এরফান হোছাইন:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটক আরও ৮৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারা। মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ তাদের বহন করছে, যা রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে, এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলেন। এদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বাসিন্দা। বাকিরা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকার বাসিন্দা।

বাংলাদেশের ইয়াঙ্গুনস্থ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় এসব নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গত ১৫ মাসে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৩৩২ জন বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সবশেষ গত ৮ জুন ২০২৪ সালে ৪৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন।

মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় এসব নাগরিকরা তাদের দেশে ফিরতে পারছেন। তবে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে এখনও অনেক বাংলাদেশি সেখানে আটকে আছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে আরও বেশি তৎপরতা দেখাতে হবে।

উউল্লেখ্য যে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও অনেক মিয়ানমারি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

সচেতন মহলের দাবি যে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা একটি মানবিক বিষয়। বাংলাদেশ সরকারকে এই কাজে আরও বেশি তৎপরতা দেখাতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মিয়ানমার থেকে আরও ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন: কক্সবাজারে পৌঁছাবেন আগামীকাল

Update Time : ০৪:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এরফান হোছাইন:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটক আরও ৮৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারা। মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ তাদের বহন করছে, যা রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে, এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলেন। এদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বাসিন্দা। বাকিরা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকার বাসিন্দা।

বাংলাদেশের ইয়াঙ্গুনস্থ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় এসব নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গত ১৫ মাসে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৩৩২ জন বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সবশেষ গত ৮ জুন ২০২৪ সালে ৪৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন।

মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় এসব নাগরিকরা তাদের দেশে ফিরতে পারছেন। তবে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে এখনও অনেক বাংলাদেশি সেখানে আটকে আছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে আরও বেশি তৎপরতা দেখাতে হবে।

উউল্লেখ্য যে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও অনেক মিয়ানমারি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

সচেতন মহলের দাবি যে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা একটি মানবিক বিষয়। বাংলাদেশ সরকারকে এই কাজে আরও বেশি তৎপরতা দেখাতে হবে।