মায়ের গলাকাটা মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল কোলের শিশু

  • Update Time : ১১:২৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 118

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শারমিন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল নিহতের কোলের শিশু। নিহতের স্বজনদের দাবি, শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী রতন মিয়া তাকে হত্যা করেছেন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শারমিন আক্তার উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। তিনি তিন সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বিডি সমাচারকে বলেন, একই গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয় শারমিনের। তার ঘরে তিন সন্তান হয়। কিন্তু শারমিন তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের মুন্সির ছেলে রতন মিয়াকে বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের জেরে দুই বছর আগে রতনকেও তালাক দেন শারমিন। এরপর থেকে তিন কন্যাসন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। এরমধ্যে প্রথম স্বামীর সঙ্গে আবার যোগাযোগ হয় শারমিনের। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা আবারও একত্রে সংসার করার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন।

স্থানীয়রা বিডি সমাচারকে জানান, দুপুরে শারমিনকে তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এসময় তার ছোট মেয়ে মাহিয়া (৩) মায়ের কোলে ছিল। কিছুক্ষণ পর রতন মিয়াকে একা দৌড়ে যেতে দেখা যায়।

উপজেলা কৃষি ইনস্টিটিউট ট্রেনিং সেন্টারের নিরাপত্তা দেওয়ালের পাশে গলাকাটা অবস্থায় শারমিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল কোলের শিশুটি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে দেয়।

ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শারমিনকে হত্যা করা হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শারমিন প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাচ্ছেন এই ক্ষোভ থেকেই রতন তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা জানান, এ ঘটনায় শারমিনের দুই স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

মায়ের গলাকাটা মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল কোলের শিশু

Update Time : ১১:২৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শারমিন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল নিহতের কোলের শিশু। নিহতের স্বজনদের দাবি, শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী রতন মিয়া তাকে হত্যা করেছেন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শারমিন আক্তার উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। তিনি তিন সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বিডি সমাচারকে বলেন, একই গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয় শারমিনের। তার ঘরে তিন সন্তান হয়। কিন্তু শারমিন তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের মুন্সির ছেলে রতন মিয়াকে বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের জেরে দুই বছর আগে রতনকেও তালাক দেন শারমিন। এরপর থেকে তিন কন্যাসন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। এরমধ্যে প্রথম স্বামীর সঙ্গে আবার যোগাযোগ হয় শারমিনের। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা আবারও একত্রে সংসার করার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন।

স্থানীয়রা বিডি সমাচারকে জানান, দুপুরে শারমিনকে তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। এসময় তার ছোট মেয়ে মাহিয়া (৩) মায়ের কোলে ছিল। কিছুক্ষণ পর রতন মিয়াকে একা দৌড়ে যেতে দেখা যায়।

উপজেলা কৃষি ইনস্টিটিউট ট্রেনিং সেন্টারের নিরাপত্তা দেওয়ালের পাশে গলাকাটা অবস্থায় শারমিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল কোলের শিশুটি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে দেয়।

ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শারমিনকে হত্যা করা হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শারমিন প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাচ্ছেন এই ক্ষোভ থেকেই রতন তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা জানান, এ ঘটনায় শারমিনের দুই স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।